ডাঃ জীবন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জি কে গউছকে সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপিতে হবিগঞ্জের দুই নেতাকে ‘পদোন্নতি’ দেয়া হয়েছে। সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবনকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলে নেওয়া হয়েছে। আর হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগী মেয়র আলহাজ¦ জি কে গউছকে সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে এ দুজনসহ ৩৯ নেতাকে বিএনপির বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হয়েছে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করায় হবিগঞ্জ বিএনপিতে আনন্দের জোয়ার বইছে। জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, রাজপথের অগ্নিপুরুষ হিসেবে খ্যাত জি কে গউছ ১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহনের মধ্য দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। পরে তিনি বৃন্দাবন সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। পড়াশোনার পাশাপাশি তখন জি কে গউছের মধ্যে ফুটে উঠে নেতৃত্বের প্রতিভা। ১৯৮৭ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। টানা ৫ বছর তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি হবিগঞ্জ পৌর যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৬ সালে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। বলিষ্ট নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি হবিগঞ্জে যুবদলকে সু-সংগঠিত করেন। এরই ফলশ্রুতিতে তিনি হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে তিনি যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে বিএনপি’র তৎকালিন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ঢাকাস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হবিগঞ্জ জেলার অধীনস্থ বিএনপির সকল থানা ও পৌর কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের গোপন ভোটে জি কে গউছ হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে তিনি ২য় বারের মত হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। পরে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মনোনীত হন। ২০১৯ সালে তিনি হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।
রাজনীতির পাশাপাশি আলহাজ্ব জি কে গউছ একজন সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৪ সালে প্রথম হবিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। টানা ৩ বার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে দলের সিদ্ধান্তে জি কে গউছ হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। জি কে গউছ বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ২০টি মামলায় আসামী হয়েছেন। এসব মামলায় তিনি ১৫১৭ দিন কারাভোগ করেন। কিন্তু তারপরও রাজপথে জি কে গউছকে থামানো যায়নি। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করেই রাজপথ সরব রেখেছেন জি কে গউছ।