আক্তার হোসেন আলহাদী ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের একমাত্র গরুর হাট হিসেবে পরিচিত ৫/৬ নং বাজার গরুর হাট। পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র দুই দিন বাকি। এরই মধ্যে জমতে শুরু করেছে পশুর হাট। তবে গরু-ছাগল বিক্রিতে অনেকটাই ভাটা লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, খামারীদের পাশাপাশি একটি চক্র সিন্ডিকেট করে হাটে গরু-ছাগলের দাম বেশি হাকাচ্ছে।
বানিয়াচংয়ে গরু ও ছাগলের হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটের ভিতরে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতাই বেশি। ক্রেতাশূণ্য হাটে বিক্রেতারা যেনো অনেকটাই অলস সময় কাটাচ্ছেন। তবে দেরীতে হলেও কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে দাবি অনেকের।
হাটে গরু মোটামুটি আছে কিন্তু ছাগল ও কোরবানী যোগ্য অন্য কোনো পশু তুলনামূলক কম। হাটে ভিড় বাড়লেও কেনা-বেচা তেমন একটি নেই। বিগত বছরগুলোতে পবিত্র ঈদুল আযহার এক সপ্তাহ আগ থেকেই পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। তবে অনেক ব্যাপারি ও ক্রেতা মনে করছেন, শেষ মুহূর্তে হাটগুলো পুরোপুরি জমে উঠবে। এখন ক্রেতারা হাটে হাটে ঘুরে ফিরে গরু-ছাগলের দাম দেখছেন। এ বছর বড় গরুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি।
হাট ইজারাদার কমিটির সদস্য রাসেল মিয়া বলেন, এখন বেচা-কেনা হচ্ছে কম। অনেকেই গরু কিনছেন না। কারন ঈদের আরো দুদিন বাকি। আগে কিনলে গরু রাখা ও লালন পালনের মতো জায়গা বা সুবিধা অনেকেরই নেই। তবে দেরীতে হলেও হাট জমে উঠবে এবং কেনা-বেচা বেশি হবে। এ বছর যেমন প্রচুর গরু আছে, তেমনি চাহিদাও আছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি বিক্রেতারা যেনো তাদের পালনকৃত গরু ছাগল ঠিকমতো নিরাপদে বিক্রি করতে পারেন।
সাংবাদিক মোশারফ হোসেন জানান, কোরবানীর পশুর যে চাহিদা, সে অনুপাতে গরু আছে ঠিকই। তবে খামারিরা এখনো বাজারে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল নিয়ে আসনেনি। আশা করা যায় আজ শুক্রবার থেকে খামারিরা বিক্রির জন্য গরু-ছাগল বাজারে তুলবেন।