উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জিত সেন রায় ও শিক্ষক নাজমুল হুদার অপসারণ দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের পূর্বে সময় বেঁধে দেয়া ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ায় গতকাল ২৬ মে রবিবার তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জিত সেন এর যোগসাজসে শিক্ষক নাজমুল হুদা ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ৪ শিক্ষার্থীর ৬ মাসের ২৩ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিগত ১০ বছর ধরে তারা এ বিষয়টি তদারকি করছেন। এই ১০ বছরের চিত্র সামনে আসলে তলের বিড়াল বের হয়ে আসবে এমনটাই ধারণা করছেন সচেতন মহল। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবাকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
কর্মসূচি চলাকালীন শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, অধ্যক্ষ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন। এটা দু:খজনক। দুর্নীতি করবেন আর প্রতিবাদ করা যাবে না। এটা হয় না। জেল জুলুমের ভয় দেখিয়ে আন্দোলন থামানো হবে ব্যর্থ চেষ্টা। প্রয়োজনে সারা দেশের ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে আন্দোলন বেগবান করে তুলবো।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে তিন দিন পূর্বে কলেজে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে তারা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। এই সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ার ২৬ মে রবিবার তারা এ কর্মসূচি পালন করে আবারো ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলেন।
সেই সাথে জিডি প্রত্যাহারসহ অধ্যক্ষ সঞ্জিত সেন রায় ও শিক্ষক নাজমুল হুদাকে অপসারণের দাবি জানান। অন্যথায় আন্দোলন চলবে। পাশাপাশি দেয়া হবে কঠোর কর্মসূচি।
এ ব্যাপারে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নুরুল আমিন বলেন, কলেজের কাজে অধ্যক্ষ সিলেট বোর্ডে আছেন। গভর্নিংবডির সভাপতিসহ সকল সদস্যবৃন্দকে বিষয়টি আমি অবগত করবো।