সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, সুন্দর আগামীর জন্য প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কেবল পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়; জনস্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকীস্বরূপ। আমাদের আজ সিদ্ধান্তে আসতে হবে প্লাস্টিক থাকবে নাকি পৃথিবী থাকবে। ২২ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২ টায় আন্তর্জাতিক ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি জিওগ্রাফি এন্ড অ্যাস্ট্রনোমিক্যাল সোসাইটি (মুগাস) এর উদ্যোগে ‘আর্থ ডে পোস্টার কম্পিটিশন’ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক ধরিত্রী দিবসের এ অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘প্লাস্টিক ভার্সেস প্লানেট’। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট এর সহ-সভাপতি ডাঃ মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, আসামের প্রসঙ্গ পত্রিকার সিনিয়র সাব এডিটর বিশিষ্ট লেখক মিলন উদ্দিন লস্কর, শিলচর চেম্বার অব কমার্সের আতাউর রহমান, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা এম. জেড. আশরাফুল, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহফুজুল হাসান।
‘আর্থ ডে পোস্টার কম্পিটিশনে’ চারটি ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। গ্রুপ ‘এ’-তে হ্যান্ডমেইড পোস্টার নিয়ে অংশগ্রহণ করে ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। এই গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্টুডেন্টস হোম স্কুল এর স্টান্ডার্ড টু এর শিক্ষার্থী অদিতি পাল, ১ম রানারআপ হয়েছে দি খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সাংনিক ভট্টাচার্য্য এবং ২য় রানারআপ হয়েছে ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রাচুর্য পাল।
গ্রুপ ‘বি’ ক্যাটাগরিতে হ্যান্ডমেইড পোস্টার নিয়ে অংশগ্রহণ করে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নন্দিনী পাল। ১ম রানারআপ হয়েছেন সিলেট সরকারি অগ্রগামী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী শ্যামা রায়, ২য় ওসমানী মেডিকেল হাই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ত্রয়ী পাল।
গ্রুপ ‘সি’-তে অনলাইনে শিক্ষার্থীরা গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্লাস্টিকের মাধ্যমে আমাদের এই গ্রহের দূষণের ফলে ক্ষতিকর দিক এবং এর থেকে রক্ষা পাওয়ার ইনোভেটিভ সলিউশনকে ফুটিয়ে তুলেন। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ঐতিহ্য সরকার অতিভ, ১ম রানারআপ হয়েছেন একই বিভাগের ৫৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহমিদা তাসনিম এবং ২য় রানারআপের খেতাব অর্জন করেন একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী দিব্য সিনহা চৌধুরী।
গ্রুপ ‘ডি’-তে হেন্ডমেইড পোস্টার ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রেয়া রায়। ১ম রানারআপ হয়েছেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অমিত দেবনাথ এবং ২য় রানারআপ হয়েছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ৫৫তম ব্যাচের অর্পিতা দেব কথা। বিজ্ঞপ্তি