হবিগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের গণজেয়ার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পুরোদমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও টানা তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। গতকাল হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনি প্রচারণা করেন। তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এমপি আবু জাহির গতকাল লাখাই উপজেলার ১ নম্বর লাখাই ইউনিয়নে কয়েকটি নির্বাচনী সভায় যোগ দেন। প্রতিটি সভাস্থল ছিল লোকে লোকারণ্য। তাঁরা এমপি আবু জাহিরকে চতুর্থবার এ আসনে নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এক নির্বাচনী সভার আয়োজন করে। দলমত নির্বিশেষে এতে অংশ নেন স্থানীয়রা। ছোট এলাকা নিয়ে গঠিত এ ওয়র্ডের প্রায় দেড় হাজার মানুষ এমপি আবু জাহিরকে নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভাস্থলের পাশে চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন কৃষক আব্দুল কাদির। কথা প্রসঙ্গে তাকে বলতে শোনা যায়, “এমপি আবু জাহিরকে আমরা ভাই কইয়া ডাকি। যে সময় মন চায় তার বসত ঘরে যাওয়া যায়। ছোটবড় সকল মানুষ ডাকলেই তাঁরে পাশে পায়। আমি রাজনীতি করি না, তবে এইডা বুঝি, হবিগঞ্জবাসীর দরকারে তারে আরেকবার এমপি বানানো দরকার।”
তাঁর কথায় সমর্থন করে হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ অসংখ্য অভাবনীয় উন্নয়ন কাজের প্রসঙ্গ টানেন চায়ের দোকানে থাকা সামছুল আলম, কাদির মিয়া ও আব্দুল আলীসহ আরও ১০/১২ জন। তারা বলেন, “অনেক এলাকায় মন্ত্রী থাকলেও আবু জাহির এমপির মতো কেউ কাম করতা ফারছইন না; আমাদের স্বার্থে এমপি আবু জাহিরকে দলমত নির্বিশেষে আবারও নির্বাচিত করার দরকার।
এমপি আবু জাহির গতকাল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া, লাখাই উপজেলার করাব এবং লাখাই ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যতবার আপনাদের কাছে নৌকা দিয়ে পাঠিয়েছেন; ততবারই সম্মান রক্ষা করেছেন। আমি নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে আপনাদের জন্য সর্বোচ্চ উপহার এনে দিয়েছি। সামনের দিনেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন।”
এ সময় পৃথক সভায় উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন তাঁর বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দলমত নির্বিশেষে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।