সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান ও আইনগত সহায়তাপ্রাপ্তির অধিকার মূলতঃ একটি সাংবিধানিক অধিকার। আমাদের দেশে বছরের পর বছর মামলা পরে থাকে। অনেকে বিনাঅপরাধে বিভিন্নভাবে মামলার শিকার হয়ে হয়রানীর সম্মুখিন হন। সামর্থ্যবানরা মামলা মোকাবেলা করার জন্য আইনজীবী নিয়োগ করতে পারলেও অনেক সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগণ অর্থাভাবে তা করতে না পেরে কোনো কোনো সময় মামলায় হেরে যান। এতে ন্যায়বিচার বিঘিœত হয়। লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে অসহায় বিচারপ্রার্থীদের বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদান সরকারের একটি যুগান্তকারি উদ্যোগ। এতে সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ন্যায়বিচার পাচ্ছেন। মঙ্গলবার দুপুরে প্রফেসর এম হাবিবুর রহমান হলে সিলেট জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের উদ্যোগে সরকারি আইনগত সহায়তা বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন সিলেট জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারি জজ বীরেশ্বর সিংহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনোমিক্স এর ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, স্কুল অব ল এর ভারপ্রাপ্ত ডিন শেখ আশরাফুর রহমান। বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্ঠা ড. এমজেড আশরাফুল।
প্রধান আলোচক সিনিয়র সহকারি জজ বীরেশ্বর সিংহ বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণিত হয়। প্রতিমাসে অসংখ্য অসহায় লোকজন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের সহায়তা পাচ্ছেন। ২৬ জন নারী আইনজীবীসহ ৭৬ জন প্যানেল আইনজীবীর মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হলেন এর সভাপতি। লিগ্যাল এইড এর প্যানেলভূক্ত অনেক মানবিক আইনজীবী আইনগত সহায়তার পাশাপাশি অসহায়দের আর্থিক সুবিধা দেন। যা প্রশংসনীয়। সেমিনারে আইন ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের নির্বাচিত ৫০ জন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি