স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের স্বনামধন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান চাঁদের হাসি হাসপাতালের ভুল রিপোর্টে এক গর্ভধারীনি মা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হয়ে এ ব্যাপারে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পরে তা সকলের নজরে আসে। সচেতন মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
জানা যায়- গত ২৪ সেপ্টেম্বর শায়েস্তাগঞ্জের বাগুনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তানজিনা আক্তার মেরিন তার ২২ মাস বয়সী শিশুপুত্রের জ¦র হলে তাকে নিয়ে চাঁদের হাসি হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর তানজিনা আক্তার মেরিনকে তার শিশুর রক্ত পরীক্ষা করাতে বলা হয়। চাঁদের হাসি হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করালে রিপোর্টে ওই শিশুর ডেঙ্গু পজেটিভ আসে। দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য চাঁদের হাসি হাসপাতালের দ্বিতীয় শাখায় ভর্তি করা হয়। সন্তানের ডেঙ্গু আক্রান্তের খবরে মা তানজিনা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। পরে ওই শিশুকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সেখানে আবারও ওই শিশুর রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গু নেগেটিভ আসে। এতে তানজিনা আক্তারের মনে স্বস্থি ফিরে আসে। পরে এ বিষয়টি তানজিনা আক্তার মেরিন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস আকারে তুলে ধরেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, চাঁদের হাসির এই খামখেয়ালিপনার স্বীকার তিনি দ্বিতীয় বারের মতো হয়েছেন। আরেকবার ভুল রিপোর্ট দেয়ায় তার পরিবার ও তাকে যথেষ্ট রকম ভোগান্তিসহ মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ বিষয়ে তিনি ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ নুরুল হক বলেন, এ ধরণের অনেক অভিযোগই আসে, কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ দেন না। কেউ লিখিত অভিযোগ না দিলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।