নির্যাতিত ফয়সলের মা বললেন বাহুবলের মিরপুরে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে ছেলেটি নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছে
মোহাম্মদ শাহ আলম ॥ বাহুবল উপজেলার মিরপুরে রাতের অন্ধকারে খুঁটির সাথে বেধে অনার্সপড়–য়া কলেজছাত্র মোঃ ফয়সলকে নির্যাতন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ফয়সলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নির্যাতিত ফয়সল চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাসারগাঁও গ্রামের আহসান উল্ল্যার পুত্র। সে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র এবং পবিত্র কোরআনের হাফেজ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফয়সলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের দ্বিমুড়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইর কন্যা লিজার। ফয়সল ও লিজা একই কলেজে পড়ে। একই সাথে আসা যাওয়ার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। লিজা তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা তার মাকে জানায় এবং ফয়সলকে মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। একপর্যায়ে লিজার পরামর্শে মা লিপি বেগম ফয়সলকে বাড়িতে দাওয়াত করেন। দাওয়াত পেয়ে ফয়সল দেখা করতে গেলে মেয়েটির পরিবারের লোকজন তাকে হাত-পা খুুঁটির সাথে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করেন। পিটুনিতে ফয়সলের অবস্থার অবনতি হলে তারা তাকে ডাকাত বলে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার একদল পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে ফয়সলকে উদ্ধার করে মুচলেকা রেখে পরিবারের জিম্মায় দেন। পরে ফয়সলের মা তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সদর হাসপাতাল থেকে তাকে সিলেট রেফার করা হয়।
কে বা কারা ফয়সলকে নির্যাতনের ভিডিও দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। রাতে আধারে নির্যাতনের দৃশ্য এখন ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ফয়সলের মা বলেন, মারপিটের সময় আমার ছেলের বুকে প্রচন্ড আঘাত পায় এবং স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নির্যাতনের ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। প্রেমঘটিত একটি বিষয় শুনেছি। পুলিশ গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে তুলে দিয়েছে।