স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার অলুয়া, সেনারকান্দি, নোয়াগাঁও বনাম আলাপুর, ইজ্জতপুর, বাদে অলুয়া, ভেড়াখাল গ্রামের মধ্যে ৩ঘন্টা ব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষে শতাধিক আহত আহত হয়েছে। সংঘর্ষ থামা গিয়ে বাহুবল থানার ওসি তদন্ত আলমগীর কবিরসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আশংকাজনক অবস্থায় এসআই শহীদুল ইসলামকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টানা সংঘর্ষ চলতে থাকে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে। স্থানীয় এলাকাবাসী ওপুলিশ সূত্র জানায়, অলুয়া গ্রামের আবিদ আলীর ক্ষেতে ইজ্জতপুর মৎস্যজীবি সম্প্রদায় গ্রামের জনৈক ব্যক্তির গরু ধান খাচ্ছিল। তা দেখে জমির মালিক বকাঝকা করছিল। অপরদিকে ইজ্জতপুর গ্রামের লোকজন উল্টো উত্তেজিত হয়ে জমির মালিককে উদ্দেশ্য করে বকাঝকা করতে থাকে। এর জের ধরেই দু’পক্ষের প্রথমে ৭ গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় খবর পেয়ে মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের অপর প্রতিবেশী কয়েক গ্রামের লোকজন ইজ্জতপুরের পক্ষ নিলে সংঘর্ষের গতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে। এদিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বাহুবল থানার ওসি তদন্ত আলমগীর কবির, এসআই শাহিদুল, সেকেন্ড অফিসার শাহ আলী রক্তাক্ত আহত হন। এর মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় এসআই শহিদুলকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে আব্দুল কাদির (৫৫), আলী আহমদ (৩৫), অলি মিয়া (৩৬), নবীদ মিয়া (২৮) সহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। সংঘর্ষের পর পরই অলুয়া গ্রামের লেচু মিয়া. নবীন হোসেন, উমর আলী ও ফরিদ মিয়াকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে আসে এবং বর্তমান ইউপি মেম্বার আব্দুল জব্বারের বাড়িঘর আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী জানান, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বাহুবল থানার ওসি তদন্ত আলমগীর কবিরসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এর মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় এসআই শহিদুল ইসলামকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থতি শান্ত রয়েছে।