স্বপন বণিক, আজমিরীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের মাধবপাশা গ্রামের নদী মাছ শিকার করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া শাহ আসলম মিয়ার (৫০) এর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার সকালে নিহতের লাশের ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় জলসুখা ইউনিয়নের নয়াহাটি গ্রামের লোকজন কুশিযারা শাখার কোদালিয়া নদী থেকে একটি অজ্ঞাত লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে আজমিরীগঞ্জ থানায় খবর দেয়া হলে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন তরফদারসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে নিখোঁজ শাহ আসলম মিয়া স্বজনরা থানায় এসে লাশ চিহ্নিত করেন।
আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন তরফদার জানান, উদ্ধারকৃত লাশটি মাধবপাশা গ্রামের নিখোঁজ শাহ আসলম মিয়ার। তিনি ৫ মে নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই শাহ আলম মিয়া আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত শাহ আসলম মিয়া প্রায় ২০/২৫ বছর পূর্বে একটি বিয়ে করেছিলেন। তার ১ম স্ত্রীর গর্ভে ১ সন্তান রয়েছে। ১ম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকে তার স্ত্রী ও সন্তানের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। তিনি ভাইয়ের সাথে থাকতেন। ব্যক্তিগত জীবনে মাজার ও বাউল গানের ভক্ত ছিলেন। এ কারণে তিনি বিভিন্ন সময় পরিবারের লোকজনদের না জানিয়ে মাজার কিংবা বাউল গানের আসরে চলে যেতেন। নদীতে মাছ শিকার করাও ছিল তার নেশা। ৫ মে মাছ শিকার গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা ধারণা করেছিলেন তিনি হয়তো কোথায় কোন মাজারে গিয়েছেন। তারপর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজের একটি জিডি করা হয়েছিল।