নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় বোরো ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে। প্রশাসনের সহায়তায় ইতিমধ্যে হাওরের প্রায় ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এবার দ্রুত ফসল ঘরে তুলতে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে চলছে ধান কাটা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ধান কাটার মেশিন পেয়ে খুশি কৃষকরা। জেলা প্রশাসন তদারকি করছে ধানকাটা ব্যবস্থাপনা।
সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলায় এবার ১৭ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এখন পুরোদমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। দ্রুত ফসল ঘরে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ১৫টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বরাদ্দ হয়েছে এ উপজেলায়। তাই শ্রমিক সংকটের মাঝেও ফসল তুলতে বেগ পেতে হচ্ছে না কৃষকদের। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে একদিনেই প্রায় ৫ একর জমির ধান কাটা ও মাড়াই করা যায়।
গজনাইপুর গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া বলেন, ‘এক একর জমিতে ধান কাটা মাড়াই করতে খরচ ছিল প্রায় ১০ হাজার টাকা। এখন মেশিন দিয়ে ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দী করে বাড়িতে নেয়া যাচ্ছে ৬-৭ হাজার টাকার মধ্যে। ’
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এম মাকসুদুল আলম বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি প্রত্যেক ইউনিয়নে শ্রমিকদের তালিকা করে দল গঠন করা হয়েছে। ’
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. তমিজউদ্দিন খান বলেন, ‘মাঠে ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকদের কোনও সংকট নেই। জেলা প্রশাসক শ্রমিকদেরকে প্রণোদনা দিচ্ছেন, কৃষি বিভাগ মনিটরিং করছে। ৮০ ভাগ ধান পাকতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ দিন। মেশিন ও শ্রমিকের সহায়তায় ধান কাটতে সমস্যা নেই। ’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘ফসলের সামান্যতম ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। নেওয়া হয়েছে সমন্বিত উদ্যোগ। আবহাওয়া ভালো রয়েছে। আশা করি কৃষক সব ধান ঘরে তুলতে পারবে। ’