নুর উদ্দিন সুমন ॥ চুনারুঘাটে কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনাঞ্চল রেমা বনবিটের ময়না বিলে বনবিভাগের অনুমতি ছাড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন ও বৈদ্যুতিক তার লাগানো নিয়ে প্রগ্রেসিভ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজ ও বিট কর্মকর্তার সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিট কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আহত বিট কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামকে অবস্থায় উদ্ধার করে চুনারুঘাট স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়েছেন। এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বিট অফিসার জহিরুল ইসলাম।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রেমা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে জোর পুর্বক সংশ্লিষ্ট বনবিভাগের অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করছে সিলেটের প্রগ্রেসিভ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকালে পল্লী বিদ্যুতের মনোনীত ঠিকাদার প্রগ্রেসিভ প্রতিষ্ঠানের ফোরম্যান ফয়েজ মিয়া ও তার শ্রমিক আব্দুল মতিনসহ বেশ কয়েকজন লোকজন খুঁটি স্থাপন করতে বিনা অনুমতিতে বনের ভেতর প্রবেশ করেন। এসময় বিট কর্মকর্তা বাঁধা দিলে এ সংঘর্ষ হয়। এ খবর চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে ভিলেইজার ও ফোরম্যানের লোকজন লাটিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি স্থানীয় রেমা বিজিবি সদস্যরা পরিস্থতি সামালদেন। কালেঙ্গা রেঞ্জ অফিসার আলাউদ্দিন বলেন, বিজিবি রেমা ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ বিদ্যুত সংযোগের জন্য পল্লীবিদ্যুতের আবেদন করেন। কিন্তু স্থানীয় পল্লীবিদ্যুত কর্তৃপক্ষ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যুতের কাজের নির্দেশ দেন বলে দাবি ঠিকাদার লোকজনের। কিন্তু আমি বনের রক্ষক সংরক্ষিত বন ও অভয়ারণ্যে ভেতর দিয়ে রাস্তা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তর থেকে আমাদের কাছে নিষেধাজ্ঞার চিঠি রয়েছে সেখানে আমি অনুমতি দিতে পারিনা। বনবিভাগ অনুমোদন দিলে আমার সহযোগিতা থাকবে। সিলেটের প্রগ্রেসিভ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শায়েস্তাগঞ্জের ফোরম্যান জাকির হোসেন বলেন, কাজটি মুলত সিলেট থেকে দেখবাল করা হয়, চুনারুঘাটের ফোরম্যানের দায়িত্বে ফয়েজ মিয়া তাকে জোড়ে কাজ করতে আমরা বলিনাই। বনবিভাগের আপত্তি থাকলে কাজ করবনা। এবিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী (নির্মান) আজিজুর রহমান বলেন, আমাদের অফিসের কাজের অনুমিত নেই ঠিকাদার সম্পূর্ণ আমাদের অজান্তে কাজটি করছেন। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয় হবে। ইউএনও সত্যজিত রায় দাশ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।