নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ তাড়াহুড়ো করে হাওরের কাঁচা পাকা ধান কাটছে কৃষক। একদিকে আগাম বন্যার সতকবার্তা অন্যদিকে করোনার প্রভাবে বৈশি^ক খাদ্য সংকট এ দুয়ের চাপে ধান কাটাতে গিয়ে কৃষক কিছুটা হাপিয়ে উঠছেন। একদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যার আগাম সতর্কবার্তার মাইকিং অন্যদিকে প্রশাসনের ধান কাটার জন্য জোড় তাগাদা এ দু’মিলে অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই কাঁচা পাকা ধান কাটছেন কৃষক। ফলে কাঁচা পাকা ধান কাটতে গিয়ে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে তারা। সেই সাথে কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়েও পড়ছেন। তাই অনেকটা ভয়ে কাঁচা পাকা ধান কাটছেন কৃষক।
হাওরে বোরো ধান কাটা নিয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাথে, তিনি জানান ৭০ শতাংশ ধান পেকে গেলে ধানের তেমন ক্ষতি হয় না। তবে কৃৃষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। মদনপুর গ্রামের কৃষক। তিনি জানান, ব্রি আর ২৮ ও ২৯ ধান কাঁচা থাকলে তা শুকিয়ে বস্তাবন্ধি করে রাখলে পোকায় ধরে। একই কথা জানালেন উপজেলার গন্ধা গ্রামের কৃষক শুধু পোকায় নয় কাঁচা ধান কাটালে ফলন থেকে প্রতি কেদারে ১ থেকে ২ মন ধান কম হবে বলে একাধিক কৃষকের অভিমত।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোর ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতি মধ্যে কৃষক বিভিন্ন হাওরে বি ্রআর ২৮ জাতের ধান কাটা প্রায় শেষ করেছেন। ব্রি আর ২৯ ধান পাকতে আরও কয়েকটা দিন সময় লাগবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আগামী সপ্তাহ দশ দিনের মধ্যে ২৯ ধান কাটাও শেষ হয়ে যাবে।
নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলার প্রতিটি হাওরে ব্রিআর ২৮ ও বিআর ২৯ ধান রোপন করেছে কৃষক। ব্রিআর ২৮ ধান কাটা প্রায় শেষ। ২৯ পাকতে আর কয়েকটা দিন লাগবে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী বলেন, করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের হুমকি রয়েছে। এ হুমকি মোকাবেলায় বোরো ধান আমাদের কিছুটা সহায়ক হবে। সরকারী ভাবেই দ্রুত ধান কাটার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। আমরা হাওরে হাওরে ঘুরে কৃষকদের বুঝিয়ে দ্রুত পাকা ধান কাটার কথা বলছি।
নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, খাদ্য সংকট মোকাবেলায় দ্রুত ধান কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, যাহাতে প্রাকৃতিক কোন প্রকার দুর্যোগের পূর্বেই কৃষক ধান কাটতে পারেন।