আকিকুর রহমান রুমন ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার পাহাড়পুর ও কামালখানী গ্রামের বন্দের বাড়ি এলাকায় পৃথক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় ২ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। যেকোনো সময় আবারো দু’পক্ষের লোকজনের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার ১৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের কাজল মিয়া ও মহিবুর রহমানের মাঝে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে এ নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনের মাঝে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে দু’পক্ষের অন্ততপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। আহতরা হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষে টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত মহিদ মিয়াকে (৩৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ওসি কবির হুসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
অপরদিকে বেলা ১ টার দিকে উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের কামালখানী বন্দের বাড়ি এলাকায় ধানের খড়ে গরুর মুখ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কবির মিয়া, মোতালেব গং ও জিলু মিয়ার লোকজনের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জিলু মিয়াসহ অন্তত ৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত জিলু মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় উভয়পক্ষের লোকজন পুনঃরায় সংঘর্ষে জড়িত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।