পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান জায়গার তৎকালীন মালিক মিলন রায়

মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ শতবর্ষের হবিগঞ্জ শহর সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন বলেন- হবিগঞ্জ শহরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, গভঃ হাই স্কুল (হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়), যোগেন্দ্র কিশোর এন্ড হরেন্দ্র কিশোর (জে,কে এন্ড এইচ,কে) উচ্চ বিদ্যালয়, বিকেজিসি (বসন্ত কুমারী গোপাল চন্দ্র) সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (এন.সি হাই স্কুল, বর্তমান হবিগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজ), হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। তবে তৎকালীন সময়ে হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ছিল শহরের বর্তমান বদিউজ্জামান খান সড়কে। পরে সেটি বতর্মানের মহিলা কলেজ রোড এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে যে স্থানে হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সেটি ছিল তৎকালীন সময়ের গানের শিক্ষক ওস্তাদ মিলন রায়ের বাসা। তাকে দাওয়াত করে চুনারুঘাট নেয়া হয়। এর পর থেকে তিনি কয়েকদিন নিখোঁজ ছিলেন। পরে কালেঙ্গা বনে তার দেহাবশেষ অর্থাৎ শরীরের হাড় পাওয়া যায়। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। ধারণা করা হয় তার বাসার জায়গা আত্মসাত করতেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার দেহাবশেষ উদ্ধারের পর হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও দায়ীদের বিচারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলন রায়ের মৃত্যুর পর তার ভূমিটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে সেই ভূমিতে হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমান সরকারি মহিলা কলেজের বেশ কিছু অংশও মিলন রায়ের ভূমিতে রয়েছে।
তৎকালীন সময়ের উল্লেখযোগ্য স্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, তৎকালীন সময়ে জমিদার পরিবারের সন্তান শহরের পুরাতন হাসপাতাল এলাকার ডাঃ তপন দাশ গুপ্তের বাস ভবন ‘উমেশ ভবন’, টাউন হল রোডের ‘তপোবন’, আলমশেঠ বিল্ডিং, রাজনগরের কন্ট্রাক্টর মতিন খানের বাসা ছিল উল্লেখযোগ্য। তখন শহরের বাসিন্দা ছিলেন ৮ থেকে ১০ হাজার।