স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ ভাদ্র মাসের মধ্যেই কৃষকরা আমন ধান রোপন শেষ করে ফেলেন। বর্তমানে আশ্বিন মাস শুরু হয়ে গেছে কিন্তু ধান চারা সংকটে এখনো কৃষকরা জমিতে ধান রোপন করতে পারছেন না। কৃষকরা হন্যে হয়ে আমনের চারা খুঁজছেন, কিন্তু কোথাও মিলছে না আমন ধানের চারা।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছরের মতো আমন ধানের চারা সংকট আগে কখনো হয়নি। এর কারণ হচ্ছে গত মাস খানেক আগে সারা দেশের ন্যায় মাধবপুরেও ব্যাপক বন্যা। বন্যার আগে ভাটি এলাকার কৃষকরা জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ বন্যায় মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া, বুল্লা, ছাতিয়াইন, জগদীশপুর ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের রোপন করা খেত বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে বীজ তলা ডুবে পলি জমে অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার পানি সরে যাবার পর কৃষকরা আবার জমিতে ধান রোপন করতে গিয়ে চরমভাবে চারা সংকটে পড়েছেন। ধানের চারা সংগ্রহ করতে কৃষকরা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু ধান চারা মিলছে না।
শাহজাহানপুর ইউনিয়নের কৃষক শের আলী মিয়া জানান, এ বছর আমন ধান বীজের সংকট ছিল। এ কারণে অনেক কৃষক আমন বীজ সংগ্রহ করতে পারেননি। তার দুই বিঘা জমির চারার সংকট দেখা দিয়েছে। বুল্লা ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি জমি অনাবাদী রয়েছে। চারা সংকটে জমি রোপন করা যাচ্ছে না। কৃষক হিমেল মিয়া জানান, প্রতি বছর চারা কিনে আমন জমিতে লাগানো হতো। কিন্তু এ বছর চারার সংকটে জমি রোপন করা যায়নি। আমন জমি অনাবাদী রয়ে গেছে।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব সরকার বলেন, এ বছর বন্যার কারনে কিছু বীজতলা নষ্ট হয়েছে। সরকারিভাবে অনেক বীজ কৃষকদের যথাসময়ে সরবরাহ করা হয়েছে। মাধবপুরে আবাদযোগ্য আমন জমির পরিমাণ ১৮ হাজার হেক্টর। কিন্তু আবাদ করা হয়েছে ১১ হাজার ৮ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৯২৬ মেট্রিকটন চাল। চারা সংকটে কিছু জমি অনাবাদী রয়ে গেছে।