বিশেষ প্রতিবেদন…

মো. মামুন চৌধুরী ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড় বেষ্টিত গ্রামের নাম রোদ্রগ্রাম। এ গ্রামে নানা প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। এসব বাঁশের বেত দিয়ে নানান জিনিস তৈরী করছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কয়ছর আলী (৭০)। বাঁশ বেত দিয়ে তিনি জিনিস তৈরী করে প্রায় ৪০ বছর ধরে জীবন-জীবিকা পরিচালনা করছেন।
এভাবে জীবন পরিচালনা করতে পেরে আনন্দিত জানিয়ে মোঃ কয়ছর আলী জানান, রোদ্রগ্রামে প্রচুর বাঁশ রয়েছে। তাই বেকার না থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে বেত প্রস্তুত করি। এ বেত দিয়ে জিনিস তৈরী করি। এসব বাজারে বিক্রি করে জীবন পরিচালনা করছি। তিনি বসে থাকতে রাজি নন। তাই বৃদ্ধ বয়সে পরিশ্রমের মাধ্যমে রোজগার করতে পেরে গর্ববোধ করেন। তিনি বলেন, সরকারি সহযোগীতা পাওয়ার আশায় সময় নষ্ট না করে বাঁশ বেতের কাজে ব্যস্ত থাকি। এতে ওড়া, ঝুড়ি, কুলা, ডালা, খাঁচাসহ নানা সামগ্রী তৈরি করছি। এসব স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা রোজগার হয়। এছাড়া সন্তানরা নানা পেশায় কাজ করে রোজগার করছে। এসব দিয়ে পরিবার নিয়ে কোনোমতে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। সৎভাবে রোজগার করার আনন্দটা আলাদা।
মোঃ কয়ছর আলীর পরিবারের সদস্যরা জানান, বেঁচে থাকতে হলে বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। সামান্যতেও চলা যায়। এখানে হতাশ হয়ে লাভ কি। আমরা অল্পতে খুশি। সুখেই আছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মিয়া বলেন, কয়ছর আলী পরিবার নিয়ে রোদ্রগ্রামে বসবাস করে বাঁশ বেত দিয়ে নানা জিনিস তৈরী করে বিক্রি করছেন। এসব বিক্রির টাকায় তিনি পরিবার নিয়ে চলছেন। তিনি শান্তপ্রিয় লোক। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগীতা করলে তিনি আরও এগিয়ে যেতে পারতেন।
জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম আবদুল্লাহ ভূঞা বলেন, যারা বাঁশের খাঁচা বানিয়ে জীবিকা চালান, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য চেষ্টা করা হবে। তারা সমিতি গঠন করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সমিতি করলে নিয়মানুযায়ী সেই সমিতিকে নিবন্ধনের বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। এতে প্রতি বছর আর্থিক অনুদান পাওয়ার সুযোগ থাকবে।