আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ফের শুরু হয়েছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। গত ৫ এপ্রিল স্থানীয়দের বাঁধার মুখে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও গত ১০/১৫ দিন যাবত পুনরায় শুরু হয়েছে বালু উত্তোলন। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদী পর্যন্ত নৌপথে কোন সরকারি ইজারাকৃত বালু মহাল না থাকলেও হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের মধ্যাঞ্চলে নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে এই বালু।
এতে করে পুনরায় আজমিরীগঞ্জ থেকে কাকাইলছেও রাস্তা ও ফসলি জমি নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়বে বলে আশংকা করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনের ভবন ও ভবনের যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণের কাজ দরপত্র আহবানের মাধ্যমে শুরু করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় এবিএম নামের ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এবিএম প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের সৌলরী গ্রামের মুসাব্বির বালু সরবরাহ ও ভরাটের দায়িত্ব নেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে নদীতে আনলোড মেশিন বসিয়ে বালু ভরাটের কাজ শুরু করেন তারা।
স্থানীয়দের বাঁধার মুখে বালু ভরাটের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় বালু ভরাটের সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার পুনরায় বালু ভরাটের কাজ শুরু করেন তারা।
সরেজমিনে পৌরসদরের ভাটি সমীপুর এলাকা সংলগ্ন কাকাইলছেও সড়কে গিয়ে দেখা গেছে নদীর পাড় থেকে কৃষি জমি ও সড়কের উপর দিয়ে প্রায় হাজার মিটারের বেশী মোটা পাইপ বসিয়ে ড্যাম্পিং স্টেশনে ও রাস্তায় পুনরায় শুরু হয়েছে বালু ভরাটের কাজ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক জুয়েল ভৌমিক জানান, রাস্তা আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার কিন্তু কাজ জনস্বাস্থ্য বিভাগের। তাই এ বিষয়ে তিনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।