৬ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন হাজেরা বেগম। বিয়ে হলেও সন্তান না হওয়ায় স্বামী তাকে ডিভোর্স দেন। এর পরই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি। দীর্ঘ ৩০ বছর পর স্বজনরা পেল তার লাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন এলাকা থেকে রাসু বেগম (৫০) ওরপে হাজেরা বেগম নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্টেশনের পশ্চিম দিকে পরিত্যক্ত জায়গায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর ছাব্বির আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তবে রাসু বেগমের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর ছাব্বির আলী মৃতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মৃত ফজলুল করীমের স্ত্রী রাসু বেগম ওরপে হাজেরা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন ও নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি ৬ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন।
হাজেরা বেগমের এক ভাই জানান, বোন হাজেরা বেগমকে ফজলুল করিম নামে একজনের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। দীর্ঘদিন সংসার করার পরও কোনো সন্তান না হওয়ায় ফজলুল করিম তাকে ডিভোর্স দেন। এর পরই তার বোন ভারসাম্যহীন হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এর পর প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।