স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবলে গভীর রাতে জালাল মিয়া নামের এক ধান ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাহুবল সদর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
সূত্র জানায়, ৪নং সদর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মদরিছ মিয়ার ছেলে মোঃ জালাল মিয়া (৪২) সোমবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় ১টার দিকে হঠাৎ অপরিচিত দুর্বৃত্তরা ভিতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় জালাল মিয়া জেগে উঠলে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে জালাল মিয়া অচেতন হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জালাল মিয়ার স্ত্রী রোজিনাকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত সোমবার জালাল মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ রোজিনা আক্তার ছেলেকে তার বাবার বাড়ি উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামে পাঠিয়ে দেন। আর ওইদিন রাতেই এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র আরও জানায়, জালাল মিয়ার ঘর ভিতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল। ঘটনার পর গেইটের তালা মোরগ রাখার ঘরে পাওয়া যায় এবং জালাল মিয়ার বিছানার পাশে মেইন সুইস থেকে ইলেকট্রিক তার লাগলো অবস্থায়ও পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের ধারণা দুর্বৃত্তরা প্রথমে তাকে ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় জালাল মিয়া ঘুম থেকে জেগে উঠলে তাকে অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। জালাল মিয়ার শোর-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেল সিনিয়র এএসপি আবুল খয়ের জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।