প্রধান আসামী জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগনকে প্রধান আসামী করে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী।
মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ হয়ে বিদ্বেষপূর্ণভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করার অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জি কে গউছকে প্রধান আসামী করা হলেও আওয়ামী লীগের মামলায় তাকে আসামীভূক্ত করা হয়নি। তবে জি কে গউছের দুই ভাইকে আসামী করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোহাম্মদ জামান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা হলেন- হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি শায়েস্তানগর আবাসিক এলাকার শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব প্রকাশ মাহবুব, অনন্তপুর আবাসিক এলাকার গুলজার আহমেদ খান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গোপায়া গ্রামের এমদাদুল হক ইমরান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহরের নোয়াবাদ এলাকার রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার সৈয়দ মুশফিক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সোয়ারগাঁও গ্রামের মহিবুল ইসলাম শাহীন, পৌর কাউন্সিলর শায়েস্তানগর এলাকার সফিকুর রহমান সিতু, গোপায়ার জালাল আহমেদ, বহুলার সুমন মিয়া, শায়েস্তানগরের আব্দুল গাফফার, বড় বহুলার আরব আলী, নিজামপুরের ওস্তার মিয়া, বহুলার জুবায়ের মিয়া, শায়েস্তানগরের গোলাম মাওলা, নিজামপুরের শ্যামল আহমেদ সরদার, পোদ্দার বাড়ির জিল্লুর রহমান, লাখাইর পূর্ব বামৈ’র শাহ আলম প্রকাশ গোলাপ, পশ্চিম ভাদৈ’র মোঃ আব্দুস শহিদ, নিজামপুরের উজ্জল মিয়া, শায়েস্তানগরের মোজাক্কির হোসেন, গোপায়ার জীবন মিয়া, উমেদনগর আলগাবাড়ির শেখ মামুন, উমেদনগরের হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, নোয়াখাল গ্রামের সিজিল মিয়া, অনন্তপুরের ছালেক মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার জহিরুল ইসলাম, শায়েস্তানগরের মোজাম্মেল হোসেন সুমন, হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস রোডের মিজানুর রহমান, সোয়ারগাঁও’র সেলিম মিয়া, নিজামপুরের সাদেক মিয়া, শায়েস্তানগরের গোলাম ফারুক, শাহজাহান মিয়া, ইমরান মিয়া, নারায়ণপুরের জাবেদ হাসান রজব আলী, নছরতপুরের আব্দুল আজিজ, তেঘরিয়ার তৌফিকুল ইসলাম, নারায়ণপুরের মোঃ শাহীন শাহান, রুকন, বানিয়াচংয়ের আগুয়া গ্রামের আক্তার মিয়া, মোহনপুরের শামীম আহমেদ, বানিয়াচংয়ের নয়া পাতারিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া, একই গ্রামের ফাহিম মিয়া, আগুয়া গ্রামের কাজী শামীম মিয়া, ফান্দ্রাইল গ্রামের আদর মিয়া, অনন্তপুরের ছালেক মিয়া, মোহনপুরের মোঃ মুক্তাদির, একই এলাকার কুতুব উদ্দিন, বানিয়াচংয়ের সাদকপুর গ্রামের আজমান খান, একই গ্রামের হাফিজুল খান, লাখাই’র মুড়িয়াউক গ্রামের রূপশ আহমদ, শহরের নাতিরাবাদ এলাকার মামুন মিয়া, দীঘলবাকের সৈয়দ নিয়াজ উদ্দিন হারুন, বাহুবলের শাহপুর মিরপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান ফারুক, দীঘলবাক গ্রামের সৈয়দ শের আলী, জালালাবাদ গ্রামের মুর্শেদ আলম সাজন, দীঘলবাক গ্রামের জুয়েল মিয়া, একই গ্রামের আবুল হাশেম, শহরের শায়েস্তানগরের সারোয়ার উদ্দিন, রিচি গ্রামের মোঃ নোমান মিয়া, একই গ্রামের মোঃ তুষার মিয়া, মোঃ ফরিদ মিয়া ও মোঃ শামছুল হক, সুলতান মাহমুদপুরের মহসীন সিকদার, বালিয়াকান্দির মোঃ আব্দুল্লাহ মিয়া, শহরের মাহমুদাবাদের ইলিয়াছ আহমেদ ওয়াহেদ, নিজামপুরের উজ্জল মিয়া, শায়েস্তানগর কবরস্থান রোডের ইকবাল হোসেন, শায়েস্তানগর সরদার বাড়ির ইমদাদুল হক ইমন, বানিয়াচংয়ের নয়া পাতারিয়ার নজরুল মিয়া, লস্করপুরের ইমান আলী, মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া দক্ষিণ সুরমার মিজানুর রহমান, একই গ্রামের মানিক মিয়া, সদর উপজেলার তেতৈয়া গ্রামের শিপন মিয়া, একই গ্রামের সুমন মিয়া, মোঃ ইমন মিয়া ও শামীম মিয়া, দীঘলবাক গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবিব, সুলতান মাহমুদপুরের রকি মিয়া, উচাইল শংকরপাশার সুজন মিয়া, চানপুরের মমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলার জয়নগর গ্রামের সাবেক মেম্বার রেহান উদ্দিন, সুলতানশী গ্রামের শাহীন আহমেদ, একই গ্রামের মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামের মোবাশি^র মিয়া, একই গ্রামের কাজী অনিক এবং জাবেদ মিয়া।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে জেলা আওয়ামী লীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসার পর বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়।