স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে চোরেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না চুরি। একের পর এক চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে আগের চেয়ে পুলিশের টহল জোরদার করা হলেও চোরেরা থেমে নেই। এ যেনো চোর পুলিশ খেলা চলছে। চোরদের কৌশলের কাছে পুলিশ অসহায় হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে প্রধান সড়কে চুরি না হলেও গত সোমবার দিবাগত রাতে সিনেমাহল বাজার এলাকায় এক রাতে ৩ দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরেরা ওই তিন দোকান থেকে নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন- ফারদিন এন্টার প্রাইজের মালিক ফয়ছল চৌধুরী, শাহরিয়া টেলিকমের মালিক রাজন মিয়া ও কামাল স্টোরের মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী। তারা জানান, গত সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে যার যার মতো করে বাসায় চলে যান। সকালে এসে দেখেন দোকানের তালা ভাঙ্গা। ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন বেনসন, স্টার ফিল্টার, গোল্ড লিফ সিগারেটের কার্টুনসহ মুদিমাল, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনের কার্ড, মোবাইল ফোন নেই। খবর পেয়ে পুলিশ ও ব্যকস নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে যান। এ বিষয়ে ব্যকস সভাপতি আলহাজ¦ শামছুল হুদা বলেন, একের পর এক চুরি হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কোনো কিছুই করতে পারছে না। এখন পর্যন্ত একজন চোরও ধরা পড়েনি। এরকম চলতে থাকলে চোরের হাতে সবকিছু দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। এরপরও যদি পুলিশ ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সকল ব্যবসায়ী রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে।
প্রসঙ্গত, গত দুই সপ্তাহে আরও ৭/৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুঃসাহসিক চুরি হয়েছে। কিন্তু কোন চুরির রহস্যই উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। সূত্র জানিয়েছে, শহরের গোসাইপুর, সিনেমা হল, শ্যামলী, ইনাতাবাদ, অনন্তপুর ও শায়েস্তানগর ঈদগাঁহ সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় চিহ্নিত কয়েকজন চোর রয়েছে। যাদের কেউ কেউ কারাগার থেকে বের হয়ে এখন প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। যাদের বেশিরভাগই জুয়া ও মাদক সেবনের সাথে জড়িত। তারা জুয়া ও মাদকের টাকা যোগান দিতেই এসব চুরি সংঘটিত করছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, চোরদের ধরতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।