কারাবন্দী আসামী ও সাক্ষীরা আদালতে ঠিকমতো হাজির না হওয়ায় কিবরিয়া হত্যা মামলার শুধু তারিখ পড়ছে
এসএম সুরুজ আলী ॥ আজ ভয়াল ২৭ জানুয়ারি। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার ১৬ বছর পূর্ণ হলো। দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা ভয়ানক এ হত্যাকান্ডের বিচার এখনও আলোর মুখ দেখছেনা। সাক্ষী না আসা, আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় ঠিকমতো আদালতে হাজির না হতে পারাসহ বিভিন্ন জটিলতায় বিচার কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রিতায় পড়েছে। এ অবস্থায় বিচার নিয়ে হতাশা কাটছে না নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়দের মনে।
২০০৫ সালের এ দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ মোট ৫ জন নিহত হন। এতে আহত হন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরসহ ৪৩ জন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় ৫ বছর পূর্বে। কিন্তু নানান কারণে বিচারকার্যে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়েছে।
বিচার নিয়ে হতাশার কথা জানিয়ে নিহত শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, হত্যা মামলায় ৩টি তদন্ত হয়েছে। একটির সাথে অপরটির কোন মিল নেই। আমরা প্রত্যেকবারই চার্জশীট প্রত্যাখ্যান করেছি। তদন্ত যেখানে সঠিক হয়নি, সেখানে সুষ্ঠু বিচারের আশাতো করা যায় না।
মামলার বাদী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান জানান, কখনও আসছে না সাক্ষী, আবার কখনও গুরুত্বপূর্ণ আসামীরা বিভিন্ন মামলার আসামী থাকায় ঠিকমতো আদালতে হাজির করা সম্ভব হয় না। এমন জটিলতায় মামলাটির সুরাহা হচ্ছে না। তবে এদেশের মাটিতে কিবরিয়া হত্যার বিচার একদিন হবেই।
মামলার আইনজীবী সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমেদ আবদাল বলেন, হত্যা মামলায় ১৭১ সাক্ষীর মাঝে ১২৮ জন এখনও সাক্ষ্য দেয়ার বাকি রয়েছেন। সাক্ষীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। আশা করা যায় তারা দ্রুতই আসবেন। তবে এ মামলার রায় কবে হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।