এসএম সুরুজ আলী  ॥  হবিগঞ্জে থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৯ জন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। সুস্থ হওয়ার সাথে সাথেই মাঠে নেমেছেন তারা। আর তাদের অবিরাম প্রেরণা যোগাচ্ছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। নিজ উদ্যোগেই দিচ্ছেন সুরক্ষা সামগ্রি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মস্পৃহা বাড়াতে দিচ্ছেন ডিম, দুধ, গ্লোকোজ, হোমিও প্যাথি ঔষধসহ নানান পুষ্টিকর খাবার। আর এর সবগুলোই করছেন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, জেলায় সুরক্ষা সরঞ্জামের কোন সমস্যা নেই। কেন্দ্রীয়ভাবে ৭৫০টি পেলেও নিজ উদ্যোগে আরও ৯শ’টি মাঠে কাজ করার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের যেন গাদাগাদি করে না থাকতে হয় সে জন্য প্রতিটি উপজেলায় স্কুল, হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ নিরাপদ আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বল জানান, জেলায় মোট ৯ জন পুলিশ সদস্য করোনা (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এর মাঝে চুনারুঘাট থানার ওসিসহ ৭ জন, বাহুবলে ১ জন এবং সদর থানায় ১ জন। ইতিমধ্যে ৪ সুস্থ হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই চুনারুঘাট থানার। বাকি ৫ জনও সুস্থ হওয়ার পথে। তিনি বলেন, আশাকরি খুব দ্রুতই তারা সুস্থ হয়ে কাজে ফিরবেন।
জানা যায়, করোনা সংক্রমনের শুরু থেকেই মাঠে রয়েছে পুলিশ। কঠোর আইন প্রয়োগে তারা অবিরাম কাজ করে। এ অবস্থায় শুরু থেকেই তাদের সুরক্ষা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন পুলিশ সুপার। তিনি পিপিই’র পাশাপাশি গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার, সেভলন, সিভিট, সিসিল ট্যাবলেট, হোমিওপ্যাথি ঔষধ, ডিম, দুধ, গ্লোকোজ, কলাসহ বিভিন্ন সামগ্রি বিতরণ করা হয়। প্রতিটি থানাতেই তা পৌছে দেয়া হয়। কোন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হলে সার্বক্ষণিক তার খোঁজ রাখা, তার মনোবল ধরে রাখার জন্য সার্বক্ষণিক সাহস যোগানো হচ্ছে।