উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ থেকেঃ ঢাকা নারায়নগঞ্জ থেকে গত ২/৩ দিনে হবিগঞ্জে আসা প্রায় ৫ শতাধিক গার্মেন্টস শ্রমিক হবিগঞ্জ জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা শহরে আসায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। তারন এ সময় দেশের যত মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তার বেশিরভাগ মানুষই ঢাকা এবং নারায়নগঞ্জের হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশি আতংক বিরাজ করছে। ঢাকা ও নারায়গঞ্জ এসব এলাকা থেকে হবিগঞ্জ শহর, নবীগঞ্জ উপজেলা, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ ও দিরাই এলাকায় রাতের আধারে পিকআপ ভ্যানে করে শ্রমিকরা তাদের কলকারখানা ও গার্মেন্টস বন্ধ থাকায় গ্রাম এলাকায় চলে আসে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে গার্মন্টস শ্রমিক নবীগঞ্জ পৌরসভার কানাইপুর গ্রামে আসে ঐ গ্রামের গোপেন্দ্র মালাকারের পুত্র গনেশ মালাকার। সে বাড়িতে। আসার সাথে সাথেই ঐ গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সাংবাদিক উত্তম কুমার পাল হিমেল বিষয়টি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল এবং থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমানকে অবহিত করলে ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে গনেশ মালাকারেক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেন এবং বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জস্য লক ডাউন করে দেন। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। করোনা মোকাবেলয়ায় সরকার ঘোষিত নির্দশাবলী ঠিকমত পালন করছেন না সাধারণ মানুষ যার ফলে দিনদিন উদ্বেগ উৎকন্টা বেড়েই চলছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশাবলী অমান্য নবীগঞ্জ বাজারসহ পৌর এলাকার বেশকটি মসজিদে শতাধিক মানুষ জুম্মার নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষ দেশের বৃহৎ স্বার্থে করোনা মোকাবেলায় প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।