মোঃ আলাউদ্দিন আল রনি ॥ ফাগুনের দাবদাহে ব্যস্ত শহর যখন অতিষ্ঠ, পুঞ্জিভুত চৈত্রের অস্থির মেঘেরা যখন আকাশেই ঘুরাফেরা করে চলে যায় অন্য আকাশে, ঠিক এমনি এক সময়ে প্রাত্যহিক যান্ত্রিক জীবন থেকে পরিত্রাণের আশায় মাধবপুর শিল্পকলা একাডেমী আয়োজন করে বার্ষিক বনভোজন। ব্যস্ত নগরীতে বনভোজন কেবলমাত্র নগর পীড়নের পরিত্রাণই নয়, এক মিলন মেলাও বটে। শুক্রবার দিনটি ছিল মাধবপুরবাসীর জন্য এক মহাআনন্দের। লক্ষনীয় ভিড় আর উল্লাসে ফেটে পড়া শিল্পকলার শিক্ষার্থী, অভিভাবক প্রাণভরে উপভোগ করেন পারস্পরিক সখ্যতা, মুখরোচক খাবার, খেলাধুলা, প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর র‌্যাফেল ড্র। দিনের শুরুতেই উপজেলা সদরে শিল্পকলা একাডেমির সামনে মিলিত হয় সবাই। যথা সময়ে বাসে আসন গ্রহণ করতে পেরে সকলের আনন্দ আরও যেন বেড়ে যায়। বনভোজন কমিটি আগে থেকেই মজাদার নাস্তার আয়োজন রেখেছিল। যাত্রা শুরুর আগেই সকলে মিলে তা উপভোগ করে। যাত্রার শুরুতেই উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সপরিবারে উপস্থিতি সবাইকে মুগ্ধ করে। গন্তব্য মৌলভীবাজারের লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ মুকিত চৌধুরীর খামার বাড়ি। সকাল ১১টার দিকে খামার বাড়িতে যানবাহন গিয়ে পৌঁছায়। গাড়ী থাকার সাথে সাথে সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক যার যার মতো করে নেমে বেড়িয়ে পড়েন খামারের মৎস প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন ও ছবি তুলতে। শিল্পকলা একাডেমির ফোকাল পয়েন্ট মোঃ খাইরুল হোসাইন মনু মাইকে দিনের কর্মসূচি ঘোষনা করেন। সমন্বয়ক লিটন রায় র‌্যাফেল ড্রয়ের টিকিট বিক্রি শুরু করেন।
অন্যদিকে কায়সার আহম্মেদ মাঠ থেকে বাশিতে ফু দিয়ে বাচ্চাদের মাঠে ডাকেন। শুরু হয় বাচ্চাদের দৌড় প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগিরা স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশ নিয়ে খেলার মাঠকে প্রাণবন্ত করে তোলে। পরপরই শুরু হয় পুরুষদের পাতিল ভাংগা ও মহিলাদের বালিশ খেলা ও পাতিল ভাঙ্গা। এই পর্ব পরিচালনায় আরও যারা সহযোগিতা করেন চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আপন মিয়া, মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান, সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আল রনি, মোঃ রোকনউদ্দিন লস্কর, ব্যবসায়ী সুজিত পাল, বাবুল পাল, শিক্ষক হরিভূজন রনি, সন্তোষ রায়। জুমার নামাজের পর পর মুখরোচক খাবার পরিবেশন করা হয়। এর মধ্যেই উপস্থিত হন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিকা দে। পিকনিক পর্বের শেষ পর্যায়ে খেলাধুলা ও র‌্যাফেল ড্রয়ের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।