পেশকার রবিউল বললেন দ্বিতীয় বিয়ে করায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের স্টাফ কোয়ার্টারে তালা ভেঙ্গে সরকারি বাসা জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার রবিউল ইসলাম (৩২) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মাফরুজা আক্তারকে (২২) আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারী হারুন মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আটক রবিউল ইসলাম মানিকগঞ্জ জেলা সদরের বাজিতপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র। এর আগে ৩ মার্চ রাত ১০টায় সদর থানার পুলিশ স্টাফ কোয়ার্টার দ্বিতীয় তলার ৫নাম্বার রুম থেকে তাদেরকে আটক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রবিউল ও মাফরুজাকে আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলা বিবরণ ও বাদী হারুন মিয়া সূত্রে জানা যায়, পেশকার রবিউল ইসলাম তার আরেকটি সরকারি বাসা বরাদ্দ থাকার পরও ওই সময় তার দ্বিতীয় স্ত্রী মাফরুজাকে নিয়ে জোরপূর্বক ৫নং রুমের দরজা ভেঙ্গে বাসা দখল করেন। বিষয়টি বাদী জানতে পেরে সদর থানাকে অবগত করেন। পরে সদর থানার এসআই উৎস কর্মকারসহ একদল পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সরকারী দুই কর্মচারীর মধ্যে সারাদিন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলে। কিন্তু বাদী না মানায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম বলেন, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি এ ধরণের ঘটনা করেননি। তিনি আরো জানান, দ্বিতীয় বিয়ের কারণে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী বলেন, মামলাটি এফআইআর করা হয়েছে এবং আসামীদেরকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।