নিহত জাহেদের বড় ভাই বললেন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে ॥ খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন ॥ এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী বললেন- দ্রুত রহস্য উদঘাটন করে জাড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে

মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল গ্রামে জাহেদ মিয়া (২৫) নামের এক পান বিক্রেতার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল গ্রামে বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্টের নিকটস্থ একটি জমি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। জাহেদ মিয়া ওই ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে। জাহেদের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী।
সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে শেরপুর বাজার থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মোটর সাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে জাহিদ আর বাড়ি ফিরেনি। সকালে স্থানীয় লোকজন জাহেদের মৃতদেহ পাওয়ার প্ল্যান্টের সড়কের পাশের একটি জমিতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। স্থানীয় লোকজনের ধারণা- রাতে বাড়ি যাওয়ার পথে কেউ জাহেদকে হত্যা করে সড়কের পাশে জমিতে ফেলে গেছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। নিহত জাহেদের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মৃতদেহ থেকে অনেক দূরে মোটরসাইকেলটি পড়ে রয়েছিল। পরে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত জাহেদের বড় ভাই জসিম মিয়া জানান- রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে জাহেদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘাতকদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করেন নিহতের স্বজনরা।
আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বলেন, ওই এলাকায় ইতিপূর্বেও একাধিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিবিয়ানা পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান এবং নিহত জাহেদের খুনের মূল রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যান নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী। তিনি বলেন- প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জাহেদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে জাড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লাশ দেখে মনে হয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমরা এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। খুনী যেই হোক তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।