মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা (বিপিএম-পিপিএম) বলেছেন, নারীদের সংসারে বিনা যুুদ্ধে জয় লাভ করতে হবে। এক শ্রেণির মানুষ আছে সারাদিন বাইরে কাজ করে ঘরে এসে স্ত্রীর উপর প্রভাব বিস্তার করে। এতে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে। একজন নারী হচ্ছেন সন্তানদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। মা সচেতন হলে তার ছেলে মেয়েরা ভাল মানুষ হবে, শিক্ষিত হবে। সন্ত্রাস দমন ও আদর্শ সন্তান গঠনে মায়ের ভূমিকার বিকল্প নেই। প্রত্যেক মায়ের উচিত সন্ধ্যার পর ছেলে মেয়ে যেন বাইরে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা। সকাল বেলা সন্তানদের ঘুম থেকে উঠানো, ধর্মকর্ম শিখানো। অনেক মায়ের সন্তান স্কুলের নাম করে দোকানে গিয়ে আড্ডা মারে। খারাপ ছেলে মেয়েদের সাথে মিশে বিপথগামী হচ্ছে। তিনি বলেন, এক শ্রেণির মা আছেন উঠতি বয়সী ছেলে মেয়ের হাতে দামি মোবাইল তুলে দিচ্ছেন। এতে করে ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা না করে মোবাইল ফোনে আকৃষ্ট হচ্ছে। মোবাইল ও ইন্টারনেটের কূফলে সামাজিক অবক্ষয়ে নিজের ভবিষ্যত নষ্ট করছে। সে দিকে সকল মায়েদের খেয়াল রাখা প্রয়োজন। তিনি বুধবার দুপুরে মাধবপুর উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে জেলা পুলিশ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন রোধ, আদর্শ সন্তান গঠনে মায়েদের ভূমিকা শীর্ষক মা সমাবেশে এসব কথা বলেন। ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ জাবেদের সভাপতিত্বে মা সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ নাজিম উদ্দিন, মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন, মাধবপুর ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর ফারুক আল মামুন ভূঁইয়া, আশার ডিভিশনাল ম্যানেজার সাজিদুল ইসলাম চৌধুরী, ডিস্ট্রিক ম্যানেজার কামাল হোসেন, ইউপি সদস্য তপু মিয়া, প্রধান শিক্ষক নুরজাহান বেগম প্রমূখ।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, হবিগঞ্জ জেলা একটি বৈচিত্র্যময় জেলা। এখানকার ভূ-প্রকৃতি অত্যন্ত মনোরম। এখনকার মানুষও সহজ সরল ও আবেগ প্রবণ। এই আবেগকে ভাল কাজে লাগাতে হবে। এক সময় এই জেলায় দাঙ্গা প্রবণ এলাকা ছিল। দাঙ্গা ও ঝগড়ার কারনে বহু মামলা ছিল। গত এক বছরে পুলিশের মোটিভেশন ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে ৬৭১ টি মামলা নিষ্পিত্তি করা হয়েছে। কিন্তু নারী নির্যাতন মামলা এখনো কমছে না। এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পুলিশ কাজ করছে। তিনি অপরাধ কর্মকান্ডে ছেলে মেয়েদের উসকে না দেওয়ার আহ্বান জানান।