বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে আলী আহমদ হত্যার ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ৪নং সদর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে গত ৯ জুন সোমবার জমিতে হালচাষ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আলী আহমদ (৪২) নামে একজন নিহত ও উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় নিহত আলী আহমদের ভাই জুনাইদ মিয়া বাদী হয়ে আউয়াল মেম্বারকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর আসামী পক্ষের লোকজন আত্মগোপনে চলে গেলে তাদের বাড়িঘর পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে।
গত ১০ জুন বেলা দেড়টার দিকে ময়নাতদন্তের পর আলী আহমদের লাশ বাড়িতে আসলে বাদীপক্ষের লোকজন জানাজার নামাজ ও লাশ দাফন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর এ সুযোগে আসামীপক্ষের লোকজন হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে তাদের একটি পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন বাদীপক্ষ।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জারিয়া গ্রামের সবুজ মিয়ার একটি লাকড়ি রাখার পরিত্যক্ত ঘর আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার বাদীপক্ষের প্রায় ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু বাদী জুনাইদ মিয়া ও তার পক্ষের লোকজন জানান, আসামীরা গ্রামের প্রভাবশালী মানুষ। তারা আত্মগোপনে থেকেও আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা আরও জানান, আসামীপক্ষের বেশিরভাগ মহিলা বাড়িতে রয়েছেন। তারা গত রবিবার বাহুবল মডেল থানার এসআই সাদ্দাম হোসেন সহ একদল পুলিশের উপস্থিতিতে এবং তাদের আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় সুজন মিয়া, সিজিল মিয়া ও তাদের মা আম্বিয়া খাতুনের ঘরে রক্ষিত আসবাবপত্র ভ্যান গাড়ি করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছেন। এভাবে প্রতিদিনই বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যাচ্ছে তারা।
কিন্তু ইতিপূর্বে আসামীপক্ষের সবুজ মিয়া, সাবাজ মিয়া, ফুল মিয়া, সুজন মিয়া, সিজিল মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, শফিক মিয়া, আব্দুর নুর, সাইকুল ইসলাম, হারুন মিয়া, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল আউয়াল, আলিম উল্লাহ ও পূর্ব জারিয়া গ্রামের নুরুল হক সহ ৩০/৩৫জনের বসতঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।