হবিগঞ্জস্থ বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড এর স্থান পরিবর্তন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে সিএনজি অটোরিক্সা মালিক ও শ্রমিকদের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। উমেদনগরের সিএনজি অটোরিক্সা চালক আইয়ুব খান, সাইফুল আহমেদ, রুমন আহমেদ, রিয়াদ, রহিম, সজিব, হারিছ আলীসহ ১০৯ জন শ্রমিক এ অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগরের বাসিন্দা ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব দীর্ঘদিন ধরে খোয়াই নদীর উত্তরপাড়স্থ বানিয়াচং সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড এর ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বানিয়াচং সড়কে চলাচলরত প্রায় ৫শ’ সিএনজি শ্রমিক-মালিকের কাছ থেকে ৯ বছর ধরে দৈনিক চাঁদা আদায় করছেন। এতে মাসে ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করতেন তিনি। ৯ বছরে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা শ্রমিক ও মালিকদের কাছ থেকে উত্তোলন করা হয়। উত্তোলনকৃত সকল টাকা হাবিব গং আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিক ও মালিকরা তাদের দেওয়া টাকার হিসেব চাইলে হাবিব নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন সময় হাবিব ও তার বাহিনী আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আলী, নজরুল ইসলাম, শাহাব উদ্দিন, খলিলুর রহমান, আরদ আলী গংদের নিয়ে শ্রমিকদের হুমকি ধামকি দেন। হাবিবুর রহমান শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা উত্তোলন করলেও শ্রমিকদের কল্যাণে তিনি কোন কাজই করেননি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক-মালিকগণ।
তাছাড়া হাবিব গংদের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে এবং খোয়াই নদীর উত্তরপাড় যানজট মুক্ত রাখতে উমেদনগরের সর্বস্তরের জনগণসহ বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জের ভুক্তভোগী যাত্রীরা সম্মিলিতভাবে সিএনজি অটোরিক্সার খোয়াই নদীর উত্তরপাড়স্থ বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ডটির স্থান পরিবর্তন করেছেন। গতকাল থেকে উমেদনগরস্থ দেওয়ান মাহবুব রাজার মাজার এলাকায় নতুন সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড স্থাপন করা হয়েছে।
শ্রমিক নেতা হাজী খায়রুল আলম চৌধুরী ও আব্দুর রউফ জানান, শ্রমিক ও যাত্রীদের সুবিধার্থে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ডটির স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ওই সিএনজি স্ট্যান্ডটির স্থান পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com