কোম্পানীকে দেয়া সিকিউরিটির চেক ফিরে পেতে থানায় ব্যবসায়ীর জিডি
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ গত বছর জনকরাজ ধান চাষ করে হবিগঞ্জের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই চলতি মওসুমে কৃষকদের জনকরাজ ধান চাষে সর্তক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। পাশাপাশি কোম্পানীকে জামানত হিসেবে দেয়া সিকিউরিটির চেক ফিরে পেতে তিনি জনকরাজ ধানের উদ্ভাবক ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড ও ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার হাইব্রিড সীডস্ লিঃ কোম্পানীর বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন। গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) শহরের খোয়াই নদীর পুরাতন ব্রিজস্থ হবিগঞ্জ-বানিয়াচং রোডের মেসার্স হক স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ নূরুল হক এ সাধারণ ডায়েরী করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই কোম্পানির ধানের বীজ ও কীটনাশক বিক্রি করে আসছেন। গত বছর হবিগঞ্জের কৃষকরা জনকরাজ ধান চাষ করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা পরবর্তীতে তার দোকানে এসে ধানের ব্যাপারে অভিযোগ করেন। কৃষকদের ক্ষতির বিষয়টি চিন্তা করে ব্যবসায়ী নূরুল হক ওই কোম্পানির সাথে ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে তিনি কোম্পানিতে জামানত হিসেবে তার দেওয়া ২৯ লাখ টাকার ২টি চেক ফেরত চাইলে কোম্পানি ৫ লাখ টাকার ১টি চেক ফেরত দেয়। যার (হিসাব নং- ২০৫০১৯৮০১০০১১৯৭০৪) চেক নং-৭০৭৫৯৪৮। কিন্তু বার বার তাগিদ দেওয়া স্বত্বেও ২৪ লাখ টাকার চেক নং-৭০৭৫৯৪৭ ফেরত দেয়নি। চেক ফেরত চাইলে কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দেই দিচ্ছি বলে সময় কর্তন করেন। এ বিষয়টি বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন হবিগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দকে অবগত করলে তারাও চেক ফেরত দেয়ার জন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাতেও কোন কর্ণপাত করেনি। সর্বশেষ ব্যবসায়ী নূরুল হক কোম্পানির হেড অব অপারেশন সীডস ড. মোঃ সুলতান মাহমুদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এতে ব্যবসায়ী নূরুল হকের সন্দেহ হয় কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা চেকটি অনৈতিক ভাবে ব্যবহার করে তাকে হয়রানি করতে পারেন। এমন আশঙ্কায় তিনি থানায় জিডি করেন। যার নং-৭০৪, তাং-১১/১১/২০২৪ইং।
ব্যবসায়ী নূরুল হক জানান, আমার সাথে কোম্পানির যত লেনদেন ছিল তা আমি সমাধান করেছি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কোম্পানি আমার দেওয়া জামানতের চেক ফেরত দিচ্ছে না। আমি আমার জামানতে চেকটি ফেরত চাই।