স্টাফ রিপোর্টার ॥ জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে হত্যা সহ বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত সাপেক্ষে সম্পৃক্ততা না থাকলে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার ডিআইজি। এই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে আওয়ামীলীগ কর্মীর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চান হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারের বাঁশ ব্যবসায়ী কায়ছার মিয়া ও তার পরিবার।
বাঁশ ব্যবসায়ী কায়ছার মিয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আনদোলনের সময়, আওয়ামীলীগ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকেই হতাহত হয়। এই সংঘর্ষে আহত হয় আওয়ামীলীগের অনুসারী বানিয়াচং থানার আলমপুর গ্রামের মৃত সজলু মিয়ার পুত্র কাজী মোশাহিদ মিয়া। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আহত মোশাহিদ পরিচয় দেন তিনি বিএনপির কর্মী। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয় মোশাহিদ বিএনপির কেউ না। এরপর তিনি জামাত শিবির কর্মী হয়ে গত ৮ আগস্ট ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ৪৩নং আসামী করা হয় হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারের বাঁশ ব্যবসায়ী আঃ ছমেদ মিয়ার পুত্র কায়ছার মিয়াকে। ব্যবসায়ী কায়ছার ও তার পরিবারেরর কোনো সদস্য কোন রাজনৈতিক দল কিংবা ছাত্র আন্দোলনের সাথে কখনও জড়িত ছিলেন না। কিন্তু মোশাহিদ বহুবছর যাবত হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরীর নেতৃত্বে দলীয় সকল কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন যার বাস্তব প্রমাণ মোশাহিদের ফেসবুক আইডি। তার আইডির সব কিছু স্কিনশটসহ আছে। এমনকি গত ৪ আগস্ট শহরের খোয়াইমুখ এলাকার নুরুলহেরা মসজিদ সংলগ্ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ করার জন্য জড়ো হয়। এসময় মামলার বাদী মোশাহিদ ও তার সঙ্গীরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে যোগ দেয় এর কিছুক্ষন পরই শহরের টাউন হলের সামনে মোশাহিদ সহ সবাই অবস্থান নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সাথে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন মেশাহিদ, যা সিসি ফুটেজ সহ তদন্ত করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী কায়ছারের পিতা ছমেদ মিয়া জানান- মোশাহিদ খুবই দুষ্ট প্রকৃতির লোক। সে বহুদিন যাবত আমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে আছে, শুধু তাই নয় সে আমার জায়গার কাগজ দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছে। এই বিষয়ে কোন কথা বললেই হামলা মামলা করার হুমকি দিয়ে আসছিল। মোশাহিদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। মোশাহিদ হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলার আসামী। এ পরিস্থিতিতে ছমেদ মিয়া আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের প্রতি সম্মান জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই মিথ্যা মামলা থেকে তার ছেলে কায়ছারকে অব্যাহতি দিয়ে মোশাহিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন- এই মিথ্যা মামলার কারণে তার ছেলে কায়ছার ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছেন না।