সকল কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়াল এক গ্রুপ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পৃথক স্থানে মতবিনিময় সভা আহবান করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ সময় সভাস্থল সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে চেয়ার ভাংচুর করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় নেতারা পৌরসভা মাঠে সভা করার সিদ্ধান্ত দেন।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সুসংগঠিত করে দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষে মতবিনিময় সভা আহবান করা হয়। এ নিয়ে হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে এবং অপরপক্ষ সাইফুর রহমান টাউন হলে পৃথক সভা আহবান করেন। দু’পক্ষ দুইটি স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে একটি পক্ষ উপজেলা পরিষদ হলরুমে গিয়ে চেয়ার ভাংচুর করেন।
পরে সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম, আসাদুল আল গালিব, সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক আশরাফুল আলম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আজাদ শিকদার দু’পক্ষে তৃতীয় স্থান হিসেবে পৌরসভা মাঠে সভা করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি আশরাফুল ইসলাম সুজন ও মাহদী হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমের আয়োজকরা।
বরং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করে এ থেকে সরে দাঁড়িয়ে যেকোন স্বৈরাচারের আবির্ভাব হলে তা রুখে দেয়ার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জের অন্যতম সমন্বয়ক মাহদী হাসান ও আশরাফুল ইসলাম সুজন।
সমন্বয়ক মাহদী হাসান জানান, সভাস্থলে হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদে তিনি এবং অপর সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম সুজনসহ জেলার সকল উপজেলার শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এ সময় তারা হবিগঞ্জে সংগঠনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করেন। তারা আরও বলেন, যদি আবারও কোন স্বৈরাচারের আবির্ভাব হয় তবে তারা তা রুখে দেবেন।