ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নিয়েছেন প্রশাসনের আশ্রয় কেন্দ্রে
এস কে কাওছার আহমেদ, আজমিরীগঞ্জ থেকে ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কাকাইলছেও ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো নদীর তীরবর্তী হওয়ায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সিলেট বিভাগ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেলেও নিরাপদে ছিলো আজমিরীগঞ্জ উপজেলা। পবিত্র ঈদ উল আযহার পর থেকে তিনদিনের অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে নেমে আসা পানি নামতে শুরু করে কালনী কুশিয়ারা নদীতে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যায় আজমিরীগঞ্জের নিম্নাঞ্চলগুলো। হাওরে পানি প্রবেশের পর্যাপ্ত পথ না থাকায় বিভিন্ন রাস্তা ডিঙিয়ে হাওরে ঢুকছে পানি। নদীতে পানির স্রোত প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আজমিরীগঞ্জে বন্যার কোনো প্রভাব না থাকলেও নদীর তীরবর্তী আশ্রয় প্রকল্পের ৫৫টি পরিবার পানিতে ভাসমান জীবন যাপন করছে কয়েকদিন ধরে। দুই থেকে তিনদিন ভাসমান অবস্থায় বসবাস করলেও পরে ঝুকিপূর্ণ অবস্থা মনে হলে ঘর ছেড়ে আশ্রয় নেন একটি গুদামে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রায় চল্লিশটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে নির্ধারিত আশ্রয়ন খাদ্য গুদামে।
আশ্রয়নে থাকা স্থানীয়রা জানান নিচু জায়গায় ঘরগুলো তৈরি হওয়াতে বর্ষার শুরুতেই তলিয়ে যায়। সরকারি সহায়তায় ঘরগুলো মাটি ভরাট করে দেওয়া হলে তাদের আতঙ্ক দূর হতো।
আশ্রয়ন কেন্দ্রে থাকা পরিবারগুলোর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল ভৌমিক জানান, বন্যার্তদের মধ্যে শনিবার জিআর এর ১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। যদি আরো প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা দিব। পরিমাণ মতো চাল মজুদ রয়েছে।