স্টাফ রিপোটার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে সেচ প্রকল্পের বিদ্যুতের মিটারসহ সরঞ্জামাদি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে ওই এলাকার খোয়াই নদীর বাঁধে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর যাদবপুর গ্রামের আতাউর রহমানসহ ১৯ জন হবিগঞ্জ বিএডিসি অফিস থেকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের অনুমোদন নেন। এর পর থেকে তারা ন্যায্য মূল্যে ইরি জমিতে সেচ দিয়ে আসছেন। সম্প্রতি এলাকার কিছু লোক জোরপূর্বক ওই সেচ প্রকল্প হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। শুধু তাই নয়, প্রজেক্টের ম্যানেজার আতাউর রহমানকে বিভিন্ন ভাবে তারা হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে গত ২১ ডিসেম্বর আতাউর রহমান বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এলাকার মাসুক মিয়াসহ ১০ জনকে আসামী করা হয়। একইদিনে আতাউর রহমান হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরাবরে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এরপর আতাউর রহমান ২২ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উল্লেখিতদের আসামি করে ১৪৪ ধারায় মামলা করেন। মামলা করেও রেহাই হয়নি আতাউর রহমানের। শুক্রবার সকালে জুলমত মিয়া, শরীফ মিয়াগং ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রজেক্টের ঘর, মিটারসহ সরঞ্জামাদি ভাংচুর করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের ইসমাঈল হোসেন জানান, তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে নদী পথে নৌকা দিয়ে ধানের খড় নিতে যাচ্ছিলেন। এসময় একদল লোক প্রজেক্টের মিটার, সরঞ্জামাদি ভাংচুর করতে দেখেছেন।
প্রজেক্টের ম্যানেজার আতাউর রহমান (আতাবুর) জানান, প্রায় ১ মাস ধরে এলাকার মাসুক মিয়াগং আমার সেচ প্রকল্প হাতিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করে আসছে। এ নিয়ে কয়েকটি মামলা করছি। এতে কিপ্ত হয়ে গতকাল উল্লেখিতরা মিটারসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ভাংচুর করেছে। তিনি এর বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, সেচ প্রকল্প নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটতে পারে।