স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের তিতখাই গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত রোগীদেরকে দেখতে যাওয়া আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তির উপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে। হামলায় আব্দুল করিম গুরুতর আহত হয়েছেন। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ শতরতলীর তিতখাই গ্রামে পতিত জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাশেম আলী গংদের সাথে একই গ্রামের আব্দুল বারিক সর্দার গংদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছে। মঙ্গলবার বিকেল  ৪টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় কালাই মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিতখাই গ্রামের মরহুম মরম আলীর ছেলে আব্দুল করিম (৫০) খবর পেয়ে আহতদের হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। এ সময় কাশেম আলীর পক্ষের টেনু মিয়া, তার ছেলে শামীম মিয়া, আতাউর, শহিদ মিয়া, কামাল মিয়া, জামাল মিয়া, মিরাজ আলী, আয়াত আলীসহ লোকজন উত্তেজিত হয়ে আব্দুর করিমের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল করিম গুরুতর আহত হয়। হামলার খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ ৩ হামলাকারীকে আটক করে। পরবর্তীতে আশংকা জনক অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে আব্দুল করিমকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আব্দুল করিম। তার অবস্থা আশংকাজনক।