মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে নারীদের গোসলের দৃশ্য ধারণ করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ রাতেই দুই নারী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সামছু মিয়ার স্ত্রী ফরিদা খাতুন, আছিব আলীর স্ত্রী রেহেনা খাতুন ও খেলু মিয়া। পুলিশ জানায় রেহেনা একটি হত্যা মামলার আসামিও।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে ওই গ্রামের ইন্দুপাড়ার একটি পুকুরে কয়েকজন নারী গোসল করে। আর পুকুর পাড়ে বসে ডিএসএলর ক্যামেরা দিয়ে গোসলের দৃশ্য ধারন করেন একই এলাকার অনু মিয়ার ছেলে প্রবাসী হুমায়ূন মিয়া, মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া, মৃত সায়েদ মিয়ার ছেলে বায়েজিদ মিয়া, আল্লাউদ্দিনের ছেলে সাহাবুদ্দিন মিয়া। বিষয়টি আচ করতে পেরে নারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে অবহিত করে। এ সময় ইন্দু পাড়ার মহাদেব সরকারের ছেলে বিমল সরকার কয়েকজন লোক নিয়ে পুকুরে পড়ে বসা হুমায়ুনের কাছ থেকে ক্যামেরা আটকের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে হুমায়ূন বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র সহ ৩০থেকে ৩৫জন লোক নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। ভাংচুড় করে বাড়ি ঘর। তাদের হামলায় আহত হয়েছে নয় ব্যক্তি। গুরুতর আহত চারজনকে মাধবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। ইন্দুপাড়ার বাবুল সরকার ও অবিনাশ সরকার জানান এ সময় হামলাকারীরা বিমল সরকারের দেড় বছরের একটি শিশু বাচ্চাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে পুকুরে ছুড়ে ফেলে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, তদন্ত গোলাম দস্তগীর, ছাতিয়াইন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ কামরুল হাসান।
ছাতিয়াইন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এর আগেও ওই বখাটেরা আগেও তাদের গোসলের ছবি উঠাতো। তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর বলেন এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ দুই নারী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।