স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরতলীর পশ্চিম ভাদৈ গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে শহরের একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত ঘটানো হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পিতা পূর্ব ভাদৈ গ্রামের রিকশা চালক ফিরোজ আলী বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি রুজু করে ভিকটিমের মেডিকেল শেষে সোমবার কোর্টে প্রেরণ করা হয়। বিচারক কিশোরীর ২২ ধারা জবানবন্দি গ্রহণ করে তাকে তার পিতার জিম্মায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, একই গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার পুত্র হেলাল মিয়া (২৮) ফিরোজ আলীর বাড়ির পাশে রাজমিস্ত্রির কাজে যায়। এক পর্যায়ে তার কিশোরী কন্যার সাথে কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। প্রথমে সে হেলালের প্রস্তাবে রাজি না হলেও পরে রাজি হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি হেলাল মৌখিকভাবে ওই কিশোরীকে বিয়ে করে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর থেকে প্রায়ই সে ওই কিশোরীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি হেলালকে জানালে সে কৌশলে ওই কিশোরীকে একটি ওষুধ খাইয়ে দিয়ে শহরের শায়েস্তানগর এলাকার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। পরে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হেলাল। গর্ভপাত ঘটানোর ফলে ওই কিশোরীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর পিতা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন জানান, মামলা হয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।