স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে সেলাই প্রশিক্ষণের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বর্ণমালা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধ্যা গ্রমের ময়না মিয়ার পুত্র জহুর আলী প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার একটি প্রতারক চক্র হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, চুনারুঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় আত্মনির্ভরশীল টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, নবীগঞ্জে বর্ণমালা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারসহ ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে ওই সকল ট্রেনিং সেন্টারের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন স্থানে সহজ সরল মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ওই প্রতারক চক্র নবীগঞ্জ পৌরসভার গন্ধ্যা গ্রামের জহুর আলীর বাড়িতেও এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রথমে কোনো প্রকার টাকা লাগবে না বলে প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু করলেও পরবর্তীতে তারা ১ হাজার ২শ’ টাকা করে কোর্স ফি বাবদ প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে। প্রশিক্ষণ শুরু করার ২/৩ সপ্তাহ পর সকল প্রশিক্ষণার্থীদের সেলাই মেশিন কেনার পরামর্শ দেয়। তাদের মাধ্যমে মেশিন কিনলে মার্কেটের মূল্যের চাইতেও তারা অনেক কমে কিনে দিবে বলে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী মহিলাদের আশ্বাস দেয়। এ আশ্বাসে গত ২২ মার্চ নবীগঞ্জের গন্ধ্যা গ্রামের ৮ জনের কাছ থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর সেলাই মেশিন না দিয়েই লাপাত্তা হয়ে যায় ওই প্রতিষ্ঠান। সাথে সাথে তাদের যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল ফোনও বন্ধ করে দেয়। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।