নুর উদ্দিন সুমন ॥ চুনারুঘাটে হঠাৎ ঝড় ও বজ্রপাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ঝড়ের তা-বে উপজেলার চান্দপুর সতং রাস্তায় ৪টি বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়ে যায়। এতে বাগানসহ উপজেলার দক্ষিণে বিদ্যুৎ নেই। একই সময়ে সাতছড়ি সড়কের চন্ডীছড়া চা বাগান এলাকায় ঝড়ের সময় গাছ ভেঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের উপর পড়ে। এতে চালকসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, বজ্রপাতে উপজেলার ১০নং মিরাশী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে মস্তু মিয়া (৩৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। মস্তু মিয়া ওই গ্রামের ইব্রাহিম উল্লার ছেলে। অপরদিকে গাদিশাইল গ্রামের ফারুক মিয়ার একটি গাভীসহ বাছুর মারা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে আকস্মিক ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে, যার ফলে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতথ্য নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম। তিনি বলেন, কৃষি জমিতে বজ্রপাতে একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চুনারুঘাট পল্লী বিদ্যুত সমিতি সূত্র জানায়, ঝড়ে প্রায় অর্ধশত বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় পৌরশহর ছাড়া সারা উপজেলায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কবে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে তা বলতে পারছে না পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতের ঘটনা বেড়েছে এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মাহিদুল ইসলাম বলেন, সবসময়ই কৃষকদের বজ্রপাতের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে হাওরে যেতে বলা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে কৃষকের মধ্যে ধান কাটা শেষ করার তাড়া থাকায় তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে হাওরে যান। এ কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।