স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৩ কর্মকর্তার যোগসাজসে অঞ্জনা ভৌমিক নামে এক মহিলা মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী পরিচয়ে সরকারি ভাতা উত্তোলন করে প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগের আলোকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা দূর্গা ভৌমিক ২০১৪ সালের ৭ জুলাই ২য় ও ৩য় স্ত্রী এবং ১ম স্ত্রীর সন্তান রেখে মারা যায়। মারা যাওয়ার কিছুদিন পর ৩য় স্ত্রী অঞ্জনা ভৌমিক শ্রীমঙ্গল উপজেলার জঙ্গলবাড়ী চা-বাগানের বীর বল মুন্ডা নামে অপর এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। তাদের এক কন্যা সন্তানও জন্ম নেয়। দূর্গা ভৌমিক মারা যাওয়ার পর তার ওয়ারিশ হিসাবে ২য় স্ত্রী বিনতী ভৌমিক মুক্তি বার্তা নং ০৫০৩২০৩৩৯ এর মাধ্যমে ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ভাতা উত্তোলন করেন। অপরদিকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিনতী ভৌমিকের ভাতা বন্ধ করে দিয়ে তৎকালিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এনাম খাঁ, চৌমুহনী ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুল মোত্তালিব, সাবেক কমান্ডার ফরিদ মিয়া এবং আন্দিউড়া ইউনিয়নের কমান্ডার মোঃ ঝারু মিয়া যোগসাজসে অঞ্জনা ভৌমিককে দূর্গা ভৌমিকের মৃত্যুর ৭ বছর পর ওয়ারিশ তৈরী করে ভারতীয় তালিকা নং ২৬১০০ এর আলোকে মাধবপুর সমাজসেবা কার্যালয় এর মাধ্যমে ৩১.১০.২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রতিস্থাপন করে সোনালী ব্যাংক থেকে ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ হাজার ৬শ’ টাকা করে এবং প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা কর্তন হারে ৫ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন। এ ব্যাপারে বিনতী ভৌমিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করলে তিনি সমাজসেবা কর্মকর্তা নিপুন রায়কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।
এ ব্যাপারে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এনাম খাঁ জানান- এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তৎকালিন সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফ আলী ভাল বলতে পারবেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com