নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জ শহরে মারামারি ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও এক বিএনপি নেতাকে আসামী করায় ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা কাজি সুফি মিয়ার পুত্র কাজি শামীম আহমেদ বাদি হয়ে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুর রহমান মাহিসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২শ’ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৩৭নং আসামী করা হয়েছে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক এম,এ আহমদ আজাদ ও ১৪নং আসামী করা হয় নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কৃষক দলের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিয়া উদ্দিনকে।
মামলাটি এফআইরগণ্যে রুজু করা হয়েছে বলে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি আলমগীর কবির জানিয়েছেন। ওই মামলা নবীগঞ্জের বিএনপির পরিবারের ইনাতগঞ্জ বিএনপির নেতা ও সাংবাদিককে আসামী করায় সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সভায় নিন্দা জানানো হয়েছে। ঘটনার দিন সাংবাদিক এম,এ আহমদ আজাদ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় নিজের বাসায় ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে কখনও হবিগঞ্জ শহরে যাননি।
এদিকে ঘটনার দিন সময় তারিখে বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ তার বাড়িতে অবস্থান করেন। জিয়া উদ্দিন অবৈধ সরকার পতন আন্দোলনে একজন নিবেদিত কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন। উপজেলা শ্রমিক দলের নেতা মনর উদ্দিন এর দাবি জিয়া উদ্দিন ওই ঘটনার সাথে জড়িত নন।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি বয়েতুল্লাহ জানান, জিয়া উদ্দিন আমাদের দলের নেতা। তাকে কে বা কারা আসামী করেছে বিষয়টি দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। আমি বিএনপির উপর মহলে আলাপ করবো।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক এম,এ আহমদ আজাদ জানান, তিনি আওয়ামী লীগের কোন কমিটির সদস্য নন, তাকে হয়রানি করার জন্য আসামী করা হয়েছে। নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক আজাদকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, এজাহারে একজন সাংবাদিক আসামী বিষয়টি আমি জানতাম না। এখন অবগত হয়েছি বিষয়টি দেখবো।