এক সময় যারা সাবেক এমপি আবু জাহিরের ছবি দিয়ে ব্যানার ফেস্টুন টানিয়েছিল তাদের কেউ কেউ এখন জি কে গউছের ছবি দিয়ে পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন করছে ॥ এমন সুবিধাবাদীদের তিরস্কার করেছেন জি কে গউছ ॥ শহরের সৌন্দর্য্য রক্ষায় অনতিবিলম্বে ব্যানার পোস্টার ফেস্টুন ও রাস্তায় রাখা নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ এবং অবৈধ ট্রাক পার্কিং বন্ধে যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি জি কে গউছের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পর দেশে এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকার। দল নিরপেক্ষ এ সরকারে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন পাচ্ছে বিগত ১৫ বছর ধরে নির্যাতিত দল বিএনপি। আর হবিগঞ্জে এ দলের নেতৃত্বে ও আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। এ হিসেবে তিনিই এখন হবিগঞ্জের কান্ডারী হিসেবে সর্ব মহলে স্বীকৃত। জি কে গউছের অনুসারীরা ইতোপূর্বে যেমন তাকে পছন্দ করে তার বিশাল ছবি দিয়ে ব্যানার পোস্টার ও ফেস্টুন টানিয়ে দিতেন শহরে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ঠিক তেমনি এখনো করছেন। মাঝে দীর্ঘ বছর তারা তাদের নেতার ছবি দিয়ে ব্যানার পোস্টার কিংবা ফেস্টুন টানাতে পারেননি, স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশের জুলুমের কারণে। এখন সুযোগ পেয়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আপোসহীন নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ এর ছবি সংবলিত ব্যানার পোস্টার ও ফেস্টুন টানাচ্ছেন শহরে। শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচার-প্রচারণার পোস্টার লিফলেটেও ছেয়ে গেছে শহরের দেয়ালগুলো। এদিকে এক সময় যারা সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের ছবি দিয়ে ব্যানার ফেস্টুন টানিয়েছিল তাদের কেউ কেউ এখন জি কে গউছের ছবি দিয়ে পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন করছেন। বিষয়টি নজরে এলে এ ধরণের সুবিধাবাদীদের তিরস্কার করেছেন জি কে গউছ। শুধু তাই নয়, এক সময়ের আওয়ামীপন্থী যারা এখন তাঁর কাছে ভিড়ার চেষ্টা করছেন তাদেরকেও তিনি কোন সুযোগ দিচ্ছেন না।
এদিকে, হবিগঞ্জ শহরের সৌন্দর্য্য রক্ষায় পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন- ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হবিগঞ্জ পৌরসভায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সময়ের প্রয়োজনে সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রশাসকগণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এই দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে পৌর নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাম্প্রতিককালে দেশের পট-পরিবর্তনের পর হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে হবিগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক প্রভাংশু সোম মহানকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উনার দায়িত্ব পালনে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত আছে।
ইদানিং লক্ষ্য করছি, হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে সয়লাব হয়ে গেছে। এতে শহর সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। রাস্তায় স্তুপ করে রাখা নির্মাণ সামগ্রী জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। যত্রতত্র মালবাহি ট্রাক পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। এতে শহরে চরম যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। শহরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পৌরসভার আইন অনুযায়ী পৌর এলাকায় পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড টাঙ্গাতে হলে অবশ্যই পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হয়। তাও একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য এবং পৌরসভার নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিত যে বা যারাই হবিগঞ্জ শহরে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগিয়েছেন তা অপসারণ করা আবশ্যক। এই পৌরসভায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি ৩ বার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। এই দায়িত্ববোধ থেকে আমি পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও রাস্তায় রাখা নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ এবং অবৈধ ট্রাক পার্কিং বন্ধে যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।