নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আবিদ আলীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করে তার রোষানলে পড়েছেন ওই ইউনিয়নের জামাল উদ্দিন নামে এক নিরীহ নাগরিক। পরিস্থিতির শিকার হয়ে তিনি কাকাইলছেও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আবিদ আলী ও অফিস সহায়ক পলাশ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে আবারো লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি বলেন “আমি একজন সাধারণ নাগরিক ও নিরীহ আইনমান্যকারী মানুষ। আমি গত ০১/০৮/২০২৪ ইং তারিখে কাকাইলছেও এবং কাকাইলছেও বাদে মৌজার আর এস খতিয়ান ৫৩৭, ৫৩৯, ৩৩০, এর অনলাইন ট্যাক্স এর জন্য আবেদন করি। যাহার মোট জমি ৬ একর ২২ শতক যাহা ৮ একর ২৫ শতক এর কম ফলে ভূমি উন্নয়ন করের প্রজ্ঞাপন ২০১৫ অনুযায়ী প্রতি খতিয়ানে বছরে ১০ টাকা মওকুফ খাজনা আসে কিন্তু তাহারা অনুমোদন না করে আমাকে অফিসে ডেকে নেয় গত ১৭ আগস্ট, ২০২৪ ইং তারিখে এবং ১০,০০০ টাকা (দশ হাজার টাকা মাত্র) নেয় খাজনা বাবত। এরপর ৫৩৭ খতিয়ানের অনুমোদন এবং ট্যাক্স এর চালান কপি ২৪২৫-০০০৫১৯৭৮১৩ দেয়, যাহাতে মোট দাবি ১৪৪ টাকা দেখি এবং ৩ জনের নামের জায়গায় ৪ জনের নাম এবং জমির পরিমাণ ৩ একর ১৯ শতকের জায়গায় ৩৬ একর ৮৫ শতক দেখে জানতে চাইলে অফিস সহায়ক বলে এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয় আগামী বছর আসেন ঠিক করে দিব। মোট দাবি ১৪৪ টাকা আপনি ১০,০০০ টাকা নিলেন কেন? প্রশ্ন করলে আমাকে সাতপাঁচ বলে এবং ৫৩৯ ও ৩৩০ অনুমোদন না করে অপেক্ষমাণ রেখে দেয়। সদুত্তর না পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজমিরীগঞ্জ মহোদয়কে অবগত করি। উনি মোঃ আবেদ আলীকে ফোন করলে ২১/০৮/২৪ ইং তারিখে আমার টাকা ফেরত দেয় এবং আমাকে ঘুষের অভিযোগ মিথ্যা মর্মে মুচলেকাতে স্বাক্ষর করতে বলে এরপর আমার ৫৩৭ খতিয়ান সংশোধন করে দিবে বলে কিন্তু আমি স্বাক্ষর না করায় আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদান করে। এরপর সে এই দিন সেই দিন করতে করতে সময় নিতে থাকে। অবশেষে সে ০৪/০৯/২৪ ইং তারিখে আমার নামে ১৫৮ একটি খতিয়ান বের করে ২ একর ৬০ শতকের যাহা আমি ২০০৫ সালে বিক্রয় করিয়া থাকি এবং আমার কাছে বিক্রির নকল দলিল আছে বললেও সে না মেনে আমার মোট জমি ৮ একর ২৫ শতক এর শর্ত অতিক্রম করায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সে আমার ৫৩৭ খতিয়ানের ট্যাক্স যা আমি গত ১৭ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে দেই তা পুনরায় মোট দাবি ৪৬,০৯৮ টাকা (ছয়চল্লিশ হাজার আটানব্বই টাকা মাত্র) ধার্য করে অনলাইনে অনুমোদন দেয় এবং ৫৩৯ খতিয়ানে ৩ জনের বদলে ১ জনের নাম লিখে সর্বমোট দাবি ১,৩৯,১২৪ টাকা ধার্য করে আমাকে হয়রানি করছে। উক্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে মহোদয়ের যেন মর্জি হয়। তাই সঠিক ও ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আবেদন করিলাম।”
অভিযোগের অনুলিপি ভূমি মন্ত্রণালের সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, দুদক হবিগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।