মো. মামুন চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের গুদাম। এ গুদামের পাশে পলাশ-পলি চটপটি এন্ড ফুচকার দোকান। এখানে প্রায় ৮ বছর ধরে রিক্সাভ্যানে করে ফুচকা ও চটপটি বিক্রি করছেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নিশাপট গ্রামের মোঃ কুতুব আলী। সময়ের সাথে লোকজনের মাঝে তার ফুচকা ও চটপটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দুপুর ১টা থেকে রাত প্রায় ১০ টা পর্যন্ত তিনি ফুচকা ও চটপটি বিক্রি করে থাকেন।
সরেজমিন গেলে এসব তথ্য জানিয়ে মোঃ কুতুব আলী বলেন, দৈনিক আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকার ফুচকা ও চটপটি বিক্রি হয়। এর মধ্যে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা লাভ হয়। এ টাকায় তার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকায় বসবাস করতাম। সেখানে মাঝেমধ্যে ফুচকা ও চটপটি খেতাম। ধীরে ধীরে ফুচকা ও চটপটি তৈরী শিখে নেই। পরে বাড়ি এসে রিক্সাভ্যান তৈরী করে ফুচকা ও চটপটি বিক্রি শুরু করি। দুই বছর শায়েস্তাগঞ্জের ওয়ার্কশপ এলাকায় বিক্রি করেছি। পরে সেই থেকে এ পর্যন্ত ৮ বছর ধরে রেলওয়ে গুদামের পাশে বসে ফুচকা ও চটপটি বিক্রি করে আসছি। পরিবারে স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক ছেলে রয়েছে। এ ব্যবসায় ছেলে আমাকে সহায়তা করে থাকে বলেও জানান তিনি।
পরিস্কারভাবে তৈরী চটপটি খেয়ে প্রশংসা করে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান বলেন, সময় পেলে তার (মোঃ কুতুব আলী) দোকানে আসি। তার তৈরী ফুচকা ও চটপটিতে স্বাদ পাওয়া যায়। পত্রিকা বিক্রেতা রুবেল মিয়া বলেন, নানা সময়ে ফুচকা ও চটপটি খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি। আমার ন্যায় অনেকেই মোঃ কুতুব আলী ভাইয়ের তৈরী ফুচকা ও চটপটি খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেন।