স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাটে ছোট ভাইকে হত্যার ৬ বছরের মাথায় বড় ভাইকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে র‌্যাবের সহায়তায় আসামিদের ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মিরাশি ইউনিয়নের লাতুরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল জাহির ওরফে করম আলীর ছেলে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর নুর (৪৫), তার ভাতিজা আব্দুল কাদিরের ছেলে খোরশেদ আলম (২২) ও শাহ আলম (২৪)।
জানা যায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট উপজেলার লাতুরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের পুত্র মহিবুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। মহিবুল ইসলামকে হত্যার ৫ বছর পর গত ২১ মে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় নালমুখ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় দরবেশ মিয়ার বাড়ির কাছে মহিবুলের মেজ ভাই আব্দুল হাসিম ওরফে গিয়াস উদ্দিনকে (৬০) গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার ৫ দিন পর ২৬ জুন নিহতের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ইউপি সদস্য আব্দুর নুরকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় করিম হোসেনের ছেলে ফারুক মিয়া গত ২ জুন আদালতে হাজিরা দিলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। এর মধ্যে নুর মেম্বার সহ মামলার অন্য আসামীরা পলাতক ছিলেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে নুর মেম্বারসহ তার লোকজন গিয়াস উদ্দিনের ছোট ভাই মুহিবুল ইসলামকে একইভাবে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তাদের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে হবিগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে। এ মামলার আক্রোশেই গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি নিহতর পরিবারের।
চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, র‌্যাব পুলিশের যৌথ অভিযানে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।