ডেস্ক রিপোর্ট ॥ কুরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে আলু, পেঁয়াজ, রসুনসহ মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। এক কেজি আলু কিনতে ক্রেতাকে ব্যয় করতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। যা কিছুদিন আগেও ৫০ টাকা ছিল। এছাড়া ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করলেও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম মানভেদে বেড়ে হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। বেড়েছে সব ধরনের সবজির দামও। এমন পিরিস্থিতিতে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস বইছে। শুক্রবার হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার, শায়েস্তানগর বাজারসহ অন্যান্য বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানে নিত্যপণ্যের মধ্যে ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, হলুদ, শুকনো মরিচ, ডাল, ভুট্টা, আটা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি কেনার জন্য স্থানীয় ঋণপত্রের উৎসে কর ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও এ সব পণ্যের দাম কমবে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন উল্টো কথা। তাদের মতে বাজেটে এসব পণ্যের উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখনও বাজেট পাশ হয়নি। যে কারণে বাজারে বাজেটের কোনো ইতিবাচক প্রভাব এখন দেখা যাবে না। এর জন্য ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হবে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজেটে কোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলে সেটা সাথে সাথে কার্যকর না হলেও যেসব পণ্যের দাম বাড়ানো হয় তা প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেন। এক্ষেত্রে তারা বাজেট পাশের অপেক্ষা করেন না। শুধুমাত্র দাম কমানোর ক্ষেত্রে তাদের এ অজুহাত।
শুক্রবার শহরের চৌধুরী বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ আবার কোথাও ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। এমনি ভাবে রসুনসহ সকল মসলা জাতীয় পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। থেকে নেই সবজির দামও। অথচ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করেছে। কিন্তু সামনে কুরবানীর ঈদ থাকায় ব্যবসায়ীরা কৌশলে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে দামের উপর প্রভাব পড়েনি। অথচ কিছুদিন আগেও ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। বাজারে কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। যা আগে ১৩০-১৫০ টাকা। বেড়েছে আদা, হলুদ, দারুচিনি, এলাচসহ সকল মসলার দামও। বেড়েছে গাজর, শসা, ঢেঁড়সসহ সবজির দামও। গত এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, যা গত এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০ টাকা। এছাড়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।