কাইয়ুম তরফদার ভাইস চেয়ারম্যান ও চা কন্যা খাইরুন আক্তার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ জুন বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন চুনারুঘাট উপজেলা সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও ইউএনও আয়েশা আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মাহবুব আলম মাহবুব। নির্বাচনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: লুৎফুর চৌধুরী সহ দুই আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান। তিনি ৫২ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৬২ ভোট, লুৎফুর রহমান চৌধুরী কই মাছ প্রতীকে ৮ হাজার ৬২৩, রায়হান উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬ হাজার ৬৭২, হাবিবুর রহমান জুয়েল কাপ পিরিচ প্রতীকে ১ হাজার ৭৪০ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম তরফদার মাইক প্রতীকে ২৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উজ্জ্বল কুমার দাস বই প্রতীকে ১৯ হাজার ৫১, মো: মখলিছুর রহমান টিয়াপাখি প্রতীকে ১৭ হাজার ৯১৬, লুৎফুর রহমান মহালদার পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮৭৬ ভোট, শাহজাহান মিয়া তালা প্রতীকে ১২ হাজার ৮৮১ ভোট, মো: কবির মিয়া খন্দকার টিউবওয়েল প্রতীকে ৩ হাজার ৮৫৫ ভোট, মো: আজিজুল হক তালুকদার উড়োজাহাজ প্রতীকে ৩ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ৭৬ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন চা কন্যা খাইরুন আক্তার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাজী সাফিয়া আক্তার হাঁস প্রতীকে ১২ হাজার ২১, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা খাতুন ফুটবল প্রতীকে ৮ হাজার ৮৭৩ ভোট, মোছা: ইয়াছমিন আক্তার মুক্তা বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৪ হাজার ১৬৮ ভোট, পারুল আক্তার পদ্মফুল প্রতীকে ৩ হাজার ১৪৮ ভোট পেয়েছেন।
চুনারুঘাট উপজেলায় ৮৫টি কেন্দ্রে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৮০৪। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১লাখ ৫হাজার ৪২৬। বাতিল ভোট ৩ হাজার ৩৭৮। এ উপজেলায় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পুরুষ ৭ জন, নারী ভাইস-চেয়ারম্যান ৫জন সহ ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯ শত ৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৫৬ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ১৫২।