আসসালামু আলাইকুম/আদাব
গত ৮ মে রোজ বুধবার অনুষ্ঠিত বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। উক্ত নির্বাচনে আমি নতুন মুখ হিসেবে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামগুলোতে গণসংযোগ করি। আমি যে এলাকাতেই গণসংযোগে গিয়েছি, সেই এলাকার কোন চায়ের স্টলের উপস্থিত লোকজনদের নিয়ে চা খেলে আমাকে এলাকার লোকজন চায়ের বিল দিতে দেননি। তারা নিজেরাই চায়ের বিল দিয়েছেন। গণসংযোগকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ আমার সাথে থাকা কর্মী সমর্থকদের দুপুরে খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া প্রতিক বরাদ্দের পর অল্প সময় থাকায় উপজেলার সব জায়গায় যেতে পারিনি এবং সব জায়গায় আমার প্রতিকের পোস্টার ও ব্যানার পৌছাতে পারিনি। বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার আগের দিন লাগানো হলেও বৃষ্টি, ঝড় তুফানের কারণে সেই পোস্টারগুলো পরের দিনই ছিড়ে পড়ে যায়। তারপরও উপজেলাবাসীর মাঝে মাইক প্রতিকটি ব্যাপক সারা ফেলে। ভোট চাইতে গিয়ে উপজেলাবাসীর ব্যাপক ভালোবাসা পেয়েছি। এই ভালোবাসার ঋণ আমি পরিশোধ করতে পারবো না। তবে যতদিন বেঁচে থাকবো উপজেলাবাসীর কল্যাণে কাজ করবো। বৈশাখের কাজের জন্য আমাদের এলাকার ভোটার উপস্থিতি কম হয়। তারপর পুরাতন হেভিওয়েট ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে লড়ে আমি ১০ হাজারের উপরে ভোট পাই। আমাকে যারা ভোট দিয়েছেন নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসে ভোট দিয়েছেন। আমার কাছ থেকে সেন্টার খরচ বাবদ কেউ কোন টাকা পয়সা নেননি। আমাকে যারা নির্বাচনে সহযোগিতা, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমার কর্মী সমর্থক, শুভাকাক্সক্ষী, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ উপজেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং উপজেলাবাসীর সুখ দুঃখে আজীবন পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আরশাদ হোসেন খান সুমন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা আক্তার বিউটিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। পাশাপাশি উপজেলার জনগণের কল্যাণে তারা আমার কোন প্রকার সহযোগিতা চাইলে আমি তাদের সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।
এসএম সুরুজ আলী
গত ৮ মে অনুষ্ঠিত বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী